#কলকাতা: ‘‘ডিজে ডেকে পাঠিয়েছি। সন্ধ্যা বেলায় ভোট শেষ হলেই ডিজে বাজবে, 'খেলা হবে। ভাঙা পায়ে খেলা হবে।' তবে সকাল থেকে প্রচুর ছেলেরা আমার অপেক্ষা করেছিল। এ বার ওদের সঙ্গে একটু গল্প করব। আড্ডা দেব ক্লাবে বসে। চা আর সিঙাড়া খাব। তারপর না হয় একটু হরিবোল করব।’’ ভোট শেষ হওয়ার দু'ঘন্টা আগে থেকেই বেশ খোশ মেজাজে কাঁকুড়গাছির পরেশ। সকাল থেকেই সাদা পাজামা-পাঞ্জাবি, পায়ে একটা নীল হাওয়াই চটি। সেটা পড়েই একটু এদিক ওদিক ঘুরে, আস্তানা করেছিলেন নিজের ক্লাবে। সেখান থেকেই নিজের ফোন নিয়ে নাড়াচাড়া করে গিয়েছেন। তবে কাকে কী নির্দেশ দিচ্ছেন তা অবশ্য বোঝার উপায় নেই। কেউ কিছু জিজ্ঞেস করলেই শুধু বলছেন, ‘‘ক্লাসের প্রথম হওয়া ছেলে কখনও পরীক্ষার দিন নিয়ে ভাবে না। আমিও ভাবি না।’’
advertisement
মাঝে মধ্যে তাঁর দলের ছেলেরা এসে শুধু বলে যাচ্ছেন দাদা কোথায়, কী হচ্ছে? শুধু জেনে নিচ্ছেন আর বলছেন 'দেখ কেমন দিলাম?' এ ভাবেই দুপুরের পর থেকে ভোট নিয়ে মেতে রইলেন পরেশ পাল। কাঁকুড়গাছির ক্লাবে বসে থাকলেও নজর অবশ্য ছিল গোটা বেলেঘাটা জুড়েই। মাঝে মধ্যেই ফোন করে জানতে চাইছেন কাশীয়া-রাজীয়া কী করছেন? বিজেপি প্রার্থী কাশীনাথ বিশ্বাস আর সিপিএমের রাজীব বিশ্বাস। তবে বারবার বলে চলেছেন, ‘‘ওঁদের জামানত বাজেয়াপ্ত করে তবে ছাড়ব। সারাবছর কাজ করেছি তার সুফল আমি এভাবেই নেব।’’
তবে যতটা শান্তিতে পরেশ পাল ছিলেন, ঠিক ততটাই অশান্তিতে ছিলেন বিজেপি প্রার্থী। তাঁর অভিযোগ বেলেঘাটার একাধিক বুথ নিয়ে। প্রতি ক্ষেত্রেই কাশীনাথ বিশ্বাস অভিযোগ করে গেলেন, ভোটারদের ভয় দেখানো, বুথ ক্যাপচার, এজেন্ট বসতে না দেওয়া। এমনকি মথুর বাবু লেনে যে গন্ডগোল হল সেখানেও তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ শানিয়েছেন বিজেপির প্রার্থী। সকাল থেকে বেশ কিছু বুথে ঘুরে ক্লান্ত হয়ে পড়েন বাম প্রার্থী রাজীব বিশ্বাস। তিনিও লাগাতার অভিযোগ জানিয়ে গিয়েছেন পরেশ পালের বিরুদ্ধে। তবে সবার সব কথা শুনে নিরুত্তর থেকে গেলেন পরেশ পাল। তার মুখে একটাই কথা 'ভাঙা পায়েই খেলা হবে'।
