তৃণমূলের অভিযোগ, শনিবার রাতে কামারহাটির ২২ নম্বর ওয়ার্ডের বিভার মোড়ে তৃণমূলের কার্যালয়ে বসেছিলেন বেশ কয়েকজন তৃণমূল কর্মী। লাথি মেরে তৃণমূল পার্টি অফিসের দরজা খুলে মানস বর্ধন এবং শুভ্র নামে দুই সক্রিয় তৃণমূল কর্মীকে টেনে হিঁচড়ে বিভার মোড়ে নিয়ে যায় তারা। সেখানে দুজনকেই বেধড়ক মারধর করা হয়। চালানো হয় গুলিও। প্রচণ্ড শব্দে আশপাশের বাড়ির লোকজন আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তৃণমূল কর্মীদের উপর হামলা চালিয়েছে, এই খবর বিধায়ক মদন মিত্রের কাছে পৌঁছতেই এলাকায় যান তিনি।
advertisement
আর সেখানে দাঁড়িয়েই মদন মিত্র ফোন অভিযোগ করতে থাকেন, 'বিধানসভা নির্বাচনে হারের কারণেই এলাকায় অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে বিজেপি। আর বিজেপি নেতারা জড়িয়ে রয়েছে প্রোমোটারিতে। কিন্তু এখানে প্রোমোটারি দৌরাত্ম্য চলতে দেব না। কামারহাটিকে কোনওমতেই ভাটপাড়া হতে দেব না। যারা এমন করছে, তাদের উত্তর মেরুতেও ঠাঁই দিতে দেব না।' এলাকার প্রত্যেককে দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্যের প্রতিবাদে FIR করার কথাও বলেন।
যদিও বিধায়ক মদন মিত্রের অভিযোগ অস্বীকার করে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ পাল্টা ওই ঘটনাকে বিধায়ক অনুগামীদের কাজ বলে দাবি করেছেন। তিনি বলেন, “মদন মিত্রের ঘনিষ্ঠরা এই কাজ করেছে। এই সবই হল তৃণমূলের সংস্কৃতি। আয়ের রাস্তা চাই তো। তাই গণ্ডগোল। সব জায়গায় ভাগ বাঁটোয়ারা নিয়ে অশান্তি করে বেড়াচ্ছে তৃণমূল। কামারহাটিতেও তাই হয়েছে। বিজেপি এই সংস্কৃতিতে বিশ্বাস করে না।”
ওই ঘটনায় তৃণমূলের দুই আহত কর্মীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই ৬ জন সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। একটি মোটরবাইকও বাজেয়াপ্ত হয়েছে।