এদিন ভোট শুরু হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই আরাবুল জানিয়ে দেন, 'এখানে বিজেপি বলে কিছু নেই। তৃণমূল আগের থেকে বেশি ব্যবধানে জিতবে।' কত ব্যবধান হতে পারে? আরাবুলের জবাব, 'তৃণমূল ভাঙরে এক লক্ষেরও বেশি ভোট জিতবে।' তৃণমূল ছাড়ার জল্পনা তৈরি হলেও ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ভাঙড়ের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী রেজাউলের হয়ে প্রচারেও নেমেছিলেন আরাবুল। আর তাঁর 'এলাকায়' তৃণমূলের জয় নিয়েও এখন বিন্দুমাত্র চিন্তিত নন ভাঙরের ডাকাবুকো নেতা।
advertisement
তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর বিদ্রোহী হয়েছিলেন একাধিক বিধায়ক। তালিকায় ছিল একদা মমতার ছায়াসঙ্গী সোনালী গুহ, সিঙ্গুরের মাস্টারমশাই রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য, হাওড়ার শিবপুরের বিদায়ী বিধায়ক জটু লাহিড়ির নাম। তাঁরা সকলেই নাম লিখিয়েছেন বিজেপিতে। ঠিক সেভাবেই ভাঙড়েও বিদ্রোহ মাথাচারা দিয়ে উঠেছিল। দলের বিরুদ্ধে রোষ এতটাই তীব্র হয়েছিল, আরাবুল নিজেই তৃণমূল পার্টি অফিসের ভাঙচুর চালিয়েছিলেন। দলবল নিয়ে পথ অবরোধও করেন তিনি। ফেসবুক পোস্টে লিখেছিলেন, 'দলে আমার প্রয়োজন ফুরল।'
ক্ষুব্ধ আরাবুল দলে থাকবেন কিনা এই নিয়েই সংশয় তৈরি হয়েছিল। ভাঙড়ের দাপুটে নেতা নিজেও বলেছিলেন, তিনি আর দল করবেন কিনা সেটা নিয়ে এবার সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তারপরেই তাঁকে ডেকে পাঠানো হয় কলকাতায়। আরাবুলের মান ভঞ্জনে ময়দানে নামেন খোদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতায় ডেকে আরাবুলের সঙ্গে বৈঠকও করেন অভিষেক। এরপরই মন ঠিক হয় আরাবুলের। আর ঝাঁপিয়ে পড়েন তৃণমূলকে জেতাতে। সেই সূত্রেই এবার তাঁর দাবি, 'ভাঙর থেকে লক্ষাধিক ভোটে জিতবেন তৃণমূল প্রার্থী'।
