অন্যদিকে, তেলের অগ্নিমূল্য দামে ট্রলার মালিকদের ঘুম উড়েছে। কাকদ্বীপের ট্রলার মালিক অ্যাশোসিয়েশনের সম্পাদক বিজন মাইতি বলেন, 'মরশুমের শুরু থেকে একের পর এক কোটাল ও খারাপ আবহাওয়ার মুখে পড়ে বেশীর ভাগ ট্রলারকে বারে বারে ঘাটে ফিরে আসতে হচ্ছে। ইলিশ ধরতে গেলে ট্রলারকে গভীর সমুদ্রে ঘুরতে হয়। যাতায়াতেও তেলের খরচ হয়। উত্তাল সমুদ্রে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জাল ফেলেও আর পর্যাপ্ত ইলিশের দেখা মেলেনি। গভীর সমুদ্রে যাতায়াতে প্রায় দেড় লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। যে পরিমান ইলিশ পেয়েছে, তাতে যাতায়াতের খরচ উঠবে না ট্রলার মালিকদের। আর্থিক লোকশানের মুখে পড়ে আবারও দুশ্চিন্তা শুরু হয়েছে ট্রলার মালিকদের। হতো সমস্ত ট্রলার বন্ধ করে দিতে হবে কাজ হারাবে লক্ষাধিক মৎস্যজীবী।'
advertisement
প্রত্যেক ট্রিপে জ্বালানি তেল, বরফ-সহ মৎস্যজীবীদের খাবার নিয়ে খরচ গিয়ে পড়ে প্রায় দেড় লক্ষ টাকার বেশী। গভীর সমুদ্রে পৌছে ইলিশের সন্ধানে এদিক ওদিক ঘুরতে হয় ট্রলারগুলোকে। ফলে জ্বালানি তেলের খরচও আগের চাইতে বেড়েছে। বারে বারে সমুদ্রে পৌছেও পর্যাপ্ত ইলিশ মেলেনি। তার উপর ট্রলারে ব্যবহৃত ডিজেলের মূল্য বৃদ্ধি হওয়ায় হিমশিম খাচ্ছেন ট্রলার মালিকরা। উত্তাল ঢেউ কাটাতে সমানে ইঞ্জিন চালু রাখতে হয়। কাকদ্বীপের এক ট্রলার মালিক ত্রিলোকেশ জানা বলেন, 'সবে মাত্র তেল ও বাজার শ্রমিকদের টাকা দিয়ে পাঠিয়েছি কিন্ত আবহাওয়া খারাপের জন্যে ফিরে আসতে হয়েছে। আবারও ধারদেনা করে ট্রলার কে আবার পাঠালাম তবে এই ভাবে চলতে থাকলে আর একটিপ বা দুইটির দিয়ে বন্ধ করে দিতে হবে, একদিকে তেলে অত্যাধিক মূল্য অন্যদিকে আবহাওয়ার অনুকুল না থাকায় একেবারে কোনঠাসা সুন্দরবন এর মৎস্যজীবীরা।'
