এরপর বেশকিছু খাঁচায় পাখি গাদাগাদি করে লুকিয়ে পাচার করার সময় গুদামের হাট এলাকা থেকে পাখি গুলি উদ্ধার করে পুলিস। পুলিশ দেখে চম্পট দেয় পাখি পাচারকারীরা। রাতেই পাখিগুলি উদ্ধার করে জয়নগর থানায় আনা হয়। সকাল হতেই থানার ইন্সপেক্টর ইন চার্জ অতনু সাঁতরা সিদ্ধান্ত নেন পাখি গুলি মুক্ত করার। আর যেমন ভাবা তেমন কাজ। ১০০ বেশি টিয়া পাখিকে বৃহস্পতিবার সকালে জয়নগর থানার ছাদ থেকে উড়িয়ে দেওয়া হয়। পাখি পাচারকারীদের সন্ধানে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
advertisement
প্রসঙ্গত, রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় রমরমিয়ে চলছে পাখি পাচার চক্র। গত সপ্তাহেও শুক্রবার ভোরে স্বরূপনগর(Swarupnagar) সীমান্তের হাকিমপুরের একটি বাড়িতে হানা দিয়ে বিরল প্রজাতির কিছু পাখি উদ্ধার করে পুলিশ। খবর ছিল ওই বাড়িটিতেই লুকিয়ে রাখা হয়েছে কিছু বিরল প্রজাতির পাখি। বাড়িতে ঢুকে দেখা যায় বেশ কয়েকটি খাঁচার আটকে রাখা হয়েছে পাখিদের। সেগুলিকে উদ্ধার করে আনা হয়। পরে পাখিগুলিকে বসিরহাট বনদফতরের হাতে তুলে দেওয়া হয়। প্রাথমিক তদন্ত থেকে পুলিসের দাবি, মায়ানমার থেকে ওইসব পাখিগুলিকে এনে তা বাংলাদেশ(Bangladesh) নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিল পাচারকারীরা। পাখিগুলি বিরল প্রজাতির। এগুলির আনুমানিক মূল্য কয়েক লক্ষ টাকা। এর সঙ্গে কোনও আন্তর্জাতিক পাচারচক্রের যোগ রয়েছে কিনা তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
