নিউটাউন এনকাউন্টারের (Newtown Encounter) পর থেকেই এলাকায় কড়া নজর রাখা হচ্ছিল। পুলিশ সূত্রে খবর, দেখা যায় কাশীপুরের একটি নির্মিয়মান বহুতলের একটি ঘরের মধ্যে চারজনে মিলে থাকছেন। প্রত্যেকেই পাঞ্জাবের (Punjab) বাসিন্দা বলে খবর। এর পরই তাদের আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়। চলছে জিজ্ঞাসাবাদ। জয়পাল ভুল্লার এবং জসপ্রীত জসসির সঙ্গে তাদের কোনও যোগ রয়েছে কিনা কিংবা এ শহরের আস্তানা তৈরিতে দুই গ্যাংস্টারকে এই চারজন কোনও সাহায্য করেছিলেন কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে সূত্রের খবর।
advertisement
জানা গিয়েছে আটকদের একজন চামকাউর সিং ৷ সে বাকি তিনজনকে ওই এলাকায় আশ্রয় দিয়েছিল। গোয়েন্দাদের অভিযোগ, চামকাউর সিং এলাকায় দাউদ সিং নামে পরিচয় দিয়ে থাকছিল। পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্তরা যে বাড়িতে উঠেছিল সেই বাড়ির মালিককেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ভাঙড় থানায় আনা হয়েছে। নিউটাউন এনকাউন্টার কাণ্ডে এদের কতখানি যোগ রয়েছে, তা খতিয়ে দেখছেন রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দারা বিভাগের আধিকারিকরা। তবে এ বিষয়ে পুলিশের তরফে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি।
প্রসঙ্গত, স্থানীয় পুলিশের পাশাপাশি রাজারহাট এনকাউন্টারে হত দুষ্কৃতীদের অপরাধের জাল গোটাতে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় তদন্ত চালাচ্ছে রাজ্য পুলিশের এসটিএফ (STF)। তাদের তদন্তেও উঠে এসেছে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গিয়েছে, মধ্যপ্রদেশ থেকে বাংলার নম্বরপ্লেট লাগানো গাড়ি নিয়ে ঝাড়খণ্ড হয়ে কলকাতায় প্রবেশ করে ওই দুষ্কৃতীরা। তবে প্রথমেই নিউটাউনের ‘সুখবৃষ্টি’ আবাসনে ওঠেনি ভরত, জসপ্রীত, জয়পালরা। তার আগে দিন কয়েক গেস্ট হাউজে কাটিয়েছিল এরা। নিউটাউনেরই এক গেস্ট হাউসের নাম উঠে এসেছে এই সূত্রে। যেখানে তারা একসঙ্গে পার্টিও করেছিল বলে সূত্রের খবর। এরপরে তারা সাপুরজির ‘সুখবৃষ্টি’ আবাসনে আসে।
হিসেবমতো ২৩ মে’র বেশ কয়েকদিন আগেই কলকাতায় ঢুকেছিল গ্যাংস্টাররা। কোথায় কোথায় ছিল, তা জানতে পুলিশ মেট্রো স্টেশন লাগোয়া কয়েকটি হোটেলেও তল্লাশি শুরু করেছে বলে খবর। এছাড়া বিশেষভাবে পুলিশের স্ক্যানারে নিউটাউনের ওই গেস্ট হাউসটি। নজর রাখা হচ্ছে নিউটাউন এলাকায় থাকা ভিনরাজ্যের বাসিন্দাদের উপরও। দুই গ্যাংস্টারকে কারা সাহায্য করেছিল, তা জানতেও চলছে তল্লাশি। সবমিলিয়ে, এনকাউন্টার রহস্যের জট ক্রমশ আরও জটিল হচ্ছে। সূত্রের খবর, এ নিয়ে আগামী সপ্তাহে ডিজিকে রিপোর্ট দেবে এসটিএফ।
