এদিনের সভা থেকেই মমতা বলেন, 'আমি আজকের সভা করেই উত্তরবঙ্গ যাচ্ছি। কাল সকালে ঘটনাস্থলে যাব।' একইসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ইস্তফার দাবিতে আগামীকাল রাজ্যের প্রতিটি ব্লকে কালো ব্যাজ পরে তৃণমূল কর্মীদের মিছিল করারও নির্দেশ দিয়েছেন নেত্রী।
শীতলকুচির জোড়পাটকির ১২৬ নং বুথে শনিবার সকালে, ভোট শুরু হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই কেন্দ্রীয় বাহিনী এলোপাথাড়ি গুলি চালায় বলে অভিযোগ করে গ্রামবাসীরা। নির্বাচন কমিশনও কার্যত মেনেই নিয়েছে গুলি চালিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ,একটি বাচ্চাকে মারধরের ঘটনায় প্রতিবাদ করতেই কিছু মানুষ জমায়েত করেছিল। সেই সময় ওই জমায়েত লক্ষ্য করেই গুলি চালায় কেন্দ্রীয় বাহিনী। আর তাতেই চার জনের মৃত্যু হয়। যদিও বাহিনীর তরফে দাবি করা হয়েছে, আত্মরক্ষার্থেই গুলি চালানো হয়েছে। তবে প্রত্যক্ষদর্শীদের অনেকেই ভিন্নমত।
advertisement
এরপরই প্রথমে হিঙ্গলগঞ্জ ও পরে বনগাঁর সভা থেকে সুর সপ্তমে তোলেন মমতা। গোটা ঘটনার দায় চাপান অমিত শাহের উপর। তোলেন পদত্যাগের দাবিও। তাঁর যুক্তি, এই ঘটনায় প্রমাণ হল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী চক্রান্ত করছে। তিনি আরও বলেন, 'বিজেপি হেরে গেছে বলে গুলি করছে।' তবে, মমতা অমিত শাহকে কাঠগড়ায় তুললেও এদিনই শিলিগুড়িতে সূক্ষ্ম চাল চেলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিনের ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করলেও মমতার কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘেরাও করার প্রসঙ্গ তুলে 'খেলা' অন্যদিকে ঘোরানোর চেষ্টা করলেন প্রধানমন্ত্রী। বকলমে এটাই যেন বুঝিয়ে দিলেন, মাথাভাঙ্গায় কেন্দ্রীয় বাহিনী 'আক্রান্ত' হওয়ার কারণেই আজকের এই অনভিপ্রেত ঘটনা।
