প্রসঙ্গত, শীতলকুচির ঘটনায় মমতার বিরুদ্ধে তোষণের রাজনীতি করার অভিযোগ তুলেছেন অমিত শাহ। রবিবার থেকে টানা সোমবার, দুদিনই অমিত দাবি করেছেন, 'শীতলকুচিতে চারজনের মৃত্যুতে মমতাজি এত শোকপ্রকাশ করছেন, কিন্তু ওই দিন যে আনন্দ বর্মন নামে এক রাজবংশী ছেলেও প্রাণ হারিয়েছেন, সে কথা তো উনি ভুলেই গিয়েছেন। এক বিন্দু অশ্রুপাত করেননি তাঁর জন্য।' এরপরই আসরে নামে তৃণমূল। মমতার সভামঞ্চে 'শহিদ' তালিকায় আনন্দ বর্মনের নাম থাকার ছবি দিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে 'একাধারে ঠগ, প্রতারক, মিথ্যাবাদী' বলে আক্রমণ শানায় শাসক দল।
advertisement
মমতাও এদিন নানা সভা থেকে সেই প্রসঙ্গ তুলে বলেন, 'আমাকে রাজবংশী নিয়ে কথা বলছে। জ্ঞান দিচ্ছে। নিজেদের দলের কর্মীদেরই নিজেরা মেরে ফেলে রাজনীতি করে। লজ্জা করে না! রাজবংশী মানুষজন আমার পরিবার। তাঁরা জানে আমি তাঁদের জন্য কী করেছি।'
আবার এদিন রাজ্যে এসে মতুয়া-আদিবাসী মানুষদের বঞ্চনা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই প্রসঙ্গেও পালটা তৃণমূল নেত্রী চ্যালেঞ্জ করে বলেন, 'মতুয়া নিয়ে চ্যালেঞ্জ করছি বিজেপিকে। দল, সভাপতি, গোঁসাইদের কাছে জানতে চাইছি, আমি যদি কিছু না করে থাকি আপনাদের জন্য, তাহলে আমি ইস্তফা দিয়ে চলে যাব। আর যদি মোদিবাবু মিথ্যা বলেন, তাহলে ওনাকে ওঠবোস করতে হবে।'
