এরপরই তৃণমূল নেত্রীর আহ্বান, 'এই ঘটনার বদলা নিতে হবে। একটা করে ভোট, একটা করে বদলা। এতগুলো মানুষকে গুলি করে মেরে বলছে, আত্মরক্ষা! রিটায়ার্ড লোক আমার নিরাপত্তারক্ষী হলে অসুবিধা, আর রিটায়ার্ড লোককে দিয়ে নির্বাচন কমিশন চালাচ্ছে। আজকে আমার হাতে নেই আইনশৃঙ্খলা। তৃণমূল নেতা, পাবলিককে খুন করা হচ্ছে।' এরপরই নির্বাচন কমিশনকে চ্যালেঞ্জ করে তিনি বলেন, 'আমার সঙ্গে যদি রিটায়ার্ড লোক না থাকতে পারে, তাহলে নির্বাচন কমিশন কী করে রিটায়ার্ড লোককে দিয়ে ভোট করাচ্ছে। আমি নির্বাচন কমিশনকে চ্যালেঞ্জ করছি। আমাকে নোটিশ পাঠালে পাঠান।'
advertisement
প্রসঙ্গত, ভোট প্রচারে বারবার কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নিশানা করে চলেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সিআরপিএফ সাধারণ মানুষকে বাধা দিচ্ছে, ভয় দেখাচ্ছে, এমনকী বিজেপিকে ভোট দিতে জোর করছে বলেও অভিযোগ তুলছেন তৃণমূল নেত্রী। এরপর মহিলাদের উদ্দেশে তিনি নির্দেশ দেন, 'কেন্দ্রীয় বাহিনী ভয় দেখালে মা-বোনেরা তাঁদের ঘেরাও করুন।' আর মমতার সেই বার্তার পরই তাঁকে নোটিশ পাঠায় নির্বাচন কমিশন। এরই মধ্যে মাথাভাঙ্গার ঘটনা নতুন করে তোলপাড় ফেলল ভোটের বাংলায়।
মাথাভাঙার জোরপাকাটিতে গুলি চালানোয় অভিযুক্ত খোদ কেন্দ্রীয় বাহিনী। ঘটনায় গোটা এলাকা স্তব্ধ, স্তম্ভিত গোটা মাথাভাঙাও। কমিশন কার্যত স্বীকারও করেও নিয়েছে গুলি চালিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীই। এই নিয়ে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্টও তলব করছে নির্বাচন কমিশন। মৃতদের নাম হামিদুল হক, হামিউল হক, নুর আলম,মনিরুল হক। এছাড়াও অন্তত পাঁচজন আহত। মৃতদের পরিবারের দাবি, সম্পূর্ণ পরিকল্পনা মাফিক গুলি চালিয়েছে বাহিনী। যদিও বাহিনী সূত্রে খবর, ৪০০-৫০০ গ্রামবাসী ঘিরে ধরেছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীকে। সেই সময় কয়েকজন বাহিনীর আগ্নেয়াস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। তখনই আত্মরক্ষার্থে গুলি চালাতে বাধ্য হয় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা।
