চারিদিকে লকডাউনে জর্জরিত দেশ। ঘরের বাইরে পা রাখার উপায় নেই। সেই সময় সাইতে প্র্যাক্টিস করা খেলোয়াড়দের অবস্থা আরও করুণ। কারণ করোনার কারনে বন্ধ সাই। চূড়ান্ত সমস্যায় পড়েন বাংলার এই জিমন্যাস্ট।সেই সময় সমাধান হয়ে প্রণতির পাশে আসে আর এক জাতীয় জিমন্যাস্ট। বর্তমানে রেলের কোচ রাখি দেবনাথ । বারাসত শহরে সমন্বয়-এর মাঠে তাঁর একটি কোচিং সেন্টার আছে। রাখির কথায় জিমনাস্টিক এমন এক খেলা সাত দিন প্র্যাক্টিস না করলেই ওজন বাড়তে থাকে। তাই প্রণতিকে নিজের ফ্ল্যাটে এনে তাঁর কোচিং সেন্টারে রেখে প্র্যাক্টিসের সুযোগ করে দেন তিনি।
advertisement
টোকিও উড়ে যাওয়ার কয়েক দিন আগেও লক ডাউনে প্রণতির জিমনাস্টিক প্র্যাক্টিসের এক মাত্র আশ্রয় ছিল বারাসাতের এই সমন্বয়ের মাঠ। সামান্য পরিকাঠামোর মধ্যে নিজেকে তৈরি করে প্রণতি নায়েক আজ অলিম্পিকে। রাখির দাবী, পারফরম্যান্সে ফোকাস থাকলে সাফল্য আসবেই প্রণতির। সারা দেশে বর্তমানে বাঙালিই এখন জিমনাস্টিকে কর্তৃত্ব দেখাচ্ছে কয়েক বছর ধরে। রাখি দেবনাথের মত কোচ আর প্রণতির মত প্রতিভাবানদের দেখে ও শিখে বড় হওয়ার স্বপ্নে বিভোর অনেকেই। তাদের কথায় জিমনাস্টিক খুব পরিশ্রমের এক খেলা। তাই সকালে পড়া আর বিকালে খেলাই হল তাদের মন্ত্র। আর প্রণতি নায়েক তাদের সঙ্গে প্র্যাক্টিসের সময় বেশ কিছু নতুন জিনিসও শিখিয়ে দিয়েছে। লক ডাউনের কঠিন সময় বাংলার গর্ব প্রণতির পাশে থাকতে পেরে সমন্বয়ের কর্তা আজ সাফল্য খুঁজে পাচ্ছেন। আরও প্রণতি তাঁদের মাঠে তৈরি হোক, সেটাই তাদের একমাত্র ব্রত এখন।
