TRENDING:

Extra Marital Affair: 'আমার শাঁখা-সিঁদুর বরবাদ করেছে আলপনা আর মধু', পরকীয়ার করুণ পরিণতি বনগাঁয়!

Last Updated:

Extra Marital Affair: বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁর শিকারীপাড়ায় দ্বিতীয় স্ত্রী ও তার প্রেমিকের শিকার হলেন প্রফুল্ল মিস্ত্রি নামে এক ব্যক্তি।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#বনগাঁ: উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁর শিকারীপাড়ায় দ্বিতীয় স্ত্রী ও তার প্রেমিকের শিকার হলেন প্রফুল্ল মিস্ত্রি নামে এক ব্যক্তি। প্রথম স্ত্রী চম্পা মিস্ত্রিকে ছেড়ে দিয়ে দ্বিতীয় বার ঘর বেঁধেছিলেন প্রফুল্ল। বেছে নিয়েছিলেন আলপনাকে। বনগাঁর গোপালনগর থানার শিকারীপাড়ায় দু জনের নতুন দাম্পত্যে তাল কাটে প্রতিবেশী মধু হালদারের উপস্থিতিতেই। গত মঙ্গলবার এই শিকারীপাড়ায় প্রফুল্ল মিস্ত্রির নিথর দেহ উদ্ধার হয় গোয়াল ঘর থেকে।
advertisement

গোপাল নগর থানার পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে, প্রফুল্ল মিস্ত্রির দ্বিতীয় স্ত্রী আলপনা এলাকায় নেই। সেই সঙ্গে এলাকা ছাড়া রয়েছে মধু হালদার নামে আরও এক ব্যক্তি। বছর পঞ্চান্নর প্রফুল্ল বাবুকে এমন নৃশংস ভাবে খুন নিয়ে পুলিশ বেশ সন্দিহান হয়ে ওঠে। তদন্তে নেমে পুলিশ আলপনা ও মধুকে গোপালনগর থানার নহাটা এলাকার  আলাদা আলাদা পাড়া থেকে আটক করে। জেরায় শেষমেশ আলপনা জানান, মদের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে সে তাঁর স্বামীকে খাওয়ায়। মৃত্যু নিশ্চিত করতে মধু হালদারের সাহায্য নিয়ে প্রফুল্লকে গোয়াল ঘরে নিয়ে গিয়ে দাঁ দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে সে ও মধু।

advertisement

পুলিশ সুত্রে দাবি, জেরায় আলপনা জানায় স্বামীর অত্যাচার আর মধুর সঙ্গে মেলা মেশায় বাধা দেওয়ার কারণেই তিনি ও মধু পরিকল্পনা করে খুন করেছে প্রফুল্লকে। পুলিশের দাবী আলপনার মধ্যে এই খুন করা নিয়ে কোন অনুতাপ নেই। তবে মধু হালদারের দাবি, এই খুনের সঙ্গে তিনি জড়িত নন।

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
চোখে স্বপ্ন ভারতীয় দলের জার্সিতে খেলা,বাবা পুকুর পাড়ে,ক্ষেতের পাশে পিচ করে দিলেন মেয়েকে
আরও দেখুন

বনগাঁ আদালতে নিয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে নিজেকে নির্দোষ দাবী করে সে। অন্যদিকে আলপনা মিস্ত্রি নিজের কৃতকর্মের কথা স্বীকার করে নিয়েছে। তদন্তকারী দলের এক পুলিশ কর্মীর দাবি, বারাসতের স্বামী হত্যায় সাজা প্রাপ্ত মনুয়া দাসের মানসিকতার সঙ্গে আলপনার মানসিকতার মিল তাঁরা দেখতে পেয়েছেন এই ঘটনায়। পার্থক্য শুধু এই মনুয়া নিজে হাতে তার স্বামী অনুপম সিংহকে খুন করেনি। বরং পথের কাঁটাকে সরাতে সে প্রেমিক অজিতকে ব্যবহার করেছিল। আর এই নিম্নবিত্ত পরিবারে দাম্পত্যের টানাপোড়েনের জেরে খুন হতে হল প্রফুল্লকে। নিহত প্রফুল্ল মিস্ত্রির প্রথম স্ত্রী চম্পার মিস্ত্রি র দাবি, সব জেনেও স্বামীর সুখের জন্য ওই সংসার সতীনের হাতে ছেড়ে দিয়ে অন্যত্র থাকতেন। এক ছেলে আর মেয়ে নিয়ে অন্যত্র থাকলে তাঁদের মধ্যে যোগাযোগ ছিল বলে দাবি চম্পা মিস্ত্রি ও তাঁর ছেলে প্রভাত মিস্ত্রির। তিনি বলেন, এই আলপনা তাঁর সংসার কেড়েছে। আর এখন স্বামীকেও শেষ করে দিল। আইন যেন ওদের ফাঁসির সাজা দেয়।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Extra Marital Affair: 'আমার শাঁখা-সিঁদুর বরবাদ করেছে আলপনা আর মধু', পরকীয়ার করুণ পরিণতি বনগাঁয়!
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল