তারপরেই গত কয়েকদিন আগে হাবরা পুরসভায় আরেক প্রাক্তন পুরপ্রধান তপতী দত্ত সহ আট জনকে প্রশাসক মণ্ডলীর সদস্য করা হয়ে। আর সদ্য প্রাক্তন পুর প্রধান নিলিমেশ দাসকে পুর প্রশাসক আগেই করেছিল সরকার। খাদ্য মন্ত্রী থেকে তৃতীয়বারের তৃণমুল সরকারে বনমন্ত্রী হওয়া জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের প্রিয় পাত্র নিলিমেশের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয় প্রাক্তন পুরপ্রধান তপতী দত্তকে। সেই নতুন পুর প্রশাসক মণ্ডলীর সদস্যদের সোমবার ছিল প্রথম বৈঠক। মনোনীত সদস্যদের প্রথম প্রশাসনিক বৈঠকে রাজনৈতিক দলাদলি ছিল না এদিন।
advertisement
একদিকে করোনা অতিমারি তো অন্যদিকে ডেঙ্গু। বরাবরই ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যায় এই জেলায় হাবরা এগিয়ে। ভরা বর্ষায় জমা জলে ডেঙ্গুর বিস্তার আটকাতে বৈঠক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।ঠিক হয়েছে শহরের প্রধান নিকাশীনালা গুলিকে আগে পরিষ্কার করা হবে।পুর প্রশাসক নিলিমেশ দাস এই দিন জানানা গত বছরের মত শহরের কোন ওয়ার্ডে দীর্ঘ দিন জল জমে না থাকে তার উপর বিশেষ জোর দেওয়া হবে। করোনা অতিমারি রুখতে টীকাকরণের উপর পুরসভা জোর দিচ্ছে। এই পুরসভার স্বাস্থ্যদীপ ও কলতান ভবন থেকে করোনার সুপার স্প্রেডার দের টীকা দেওয়া যেমন দেওয়া হচ্ছে, আগামী দিনেও সেই ভাবে টীকা দেওয়া হবে।তবে প্রশাসক মণ্ডলীর বৈঠকে চমক হল আশি-র উর্ধ্বে মানুষ ও প্রতিবন্ধীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে টীকা দেওয়া হবে। আর সেই কাজটি করবে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে পুরসভার স্বাস্থ্য কর্মীরা। হাবরা পুরসভার প্রশাসক নিলিমেশ দাস এদিন বলে ষাটোর্ধ্ব মানুষের টীকাকরনের জন্য পুরসভার চারটি স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে টীকাকরণের কাজ শুরু হবে কয়েকদিনের মধ্যে। প্রতিদিন এক একটি ওয়ার্ডের মানুষকে টিকা দেওয়া হবে। এরপর তারা ক্রমশ কম বয়সের মানুষকে টীকা দেওয়া শুরু করবে।যথেষ্ট টীকা না থাকায় ১৮ উর্ধ্বে মানুষের টীকাকরণ রাজ্যে শুরু হয়নি। তবে হাবরার নব্য পুর প্রশাসক মণ্ডলীর সদস্য মনোজ রায় এই দিন দাবি করেন বর্তমানে পুর এলাকায় এক হাজার জনকে টিকা দেওয়া হচ্ছে। আগামী দিনে প্রতিদিন দুই হাজার মানুষকে হাবরায় টিকা দেওয়া হবে।স্বাস্থ্য দফতর থেকে তেমনি আশ্বাস তিনি পেয়েছেন। অন্যদিকে হাবরার বিজেপি নেতা বিপ্লব দাস এই অভিযোগ করেন অনির্বাচিত মানুষকে দিয়ে সরকার করোনা মত অতিমারিতে মাতব্বরি করাচ্ছে। ফলে টিকা নিয়ে কালীপুজোর পাশের মত স্বজনপোষন হচ্ছে হাবরায়।
RAJARSHI Roy
