আবহাওয়ার গতিপ্রকৃতি দেখে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঝাড়গ্রামের গোপীবল্লভপুর ১, গোপীবল্লভপুর ২, সাঁকরাইল, নয়াগ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুরের মোহনপুর, কেশিয়াড়ি,দাঁতন, পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগর ২, রামনগর ২ দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাগরের অংশগুলোতে বেশি ক্ষতি হবার সম্ভাবনা রয়েছে। সব দিক মাথায় রেখে জেলাশাসকদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন।
এখনও পর্যন্ত য়া স্থির হয়েছে তাতে পুরুলিয়ার নির্দিষ্ট কিছু অংশে মানুষকে স্থানান্তরিত করা হবে। অন্য দিকে ইয়.স ঝাড়খণ্ডের দিকে গেলে, বুধবারের পর বৃহস্পতিবারও বৃষ্টি হলে পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়া, বীরভূমের একাংশে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে, এমন আশঙ্কাও থাকছে । তাই তড়িঘড়ি সেচ দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট জেলার জেলাশাসকদের, নবান্ন সূত্রে খবর। মাঠে নেমে কাজ শুরু করেছেন জেলাশাসকরাও।
advertisement
এর পাশাপাশি এখনও পর্যন্ত উত্তর ২৪ পরগনায় ৫১৫৫৪ জনকে নিরাপদ আশ্রয় এ নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়েছে। ইয়াসের কথা মাথায় রেখে বসিরহাট পুলিশ জেলাতেই এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার গোরামারা, নামখানা, গঙ্গাসাগরে এক লক্ষ ৯৫ হাজার মানুষকে ত্রাণ শিবিরে সরানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত ক্রমেই স্থলভাগের সঙ্গে দূরত্ব কমছে সাইক্লোন ইয়াসের।বুধবার দুপুরে অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় হিসেবে ইয়াস দিঘা ও পারাদ্বীপের মাঝামাঝি অঞ্চল অতিক্রম করবে। কিন্তু আজ মঙ্গলবার থেকেই প্রকৃতির রোষের মুখে পড়েছে বহু অঞ্চল। ফ্রেজারগঞ্জ থেকে শুরু করে হলদিয়া বহুজায়গাতেই জলোচ্ছ্বাস শুরু হয়েছে।
