প্রসঙ্গত, এদিন সকালে শীতলকুচির ঘটনায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র আক্রমণ করেছিলেন দিলীপ ঘোষ। বলেছিলেন, 'উনি পাপ করছেন, অন্যায় করছেন। মানুষকে উস্কে দিচ্ছেন। অবিলম্বে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচার বন্ধ করে দেওয়া উচিত। তৃণমূল নেত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করা উচিত।' শীতলকুচির ঘটনায় মমতা বারবার নিশানা করছেন নির্বাচন কমিশনকে। শাসক দল তৃণমূলেরও অভিযোগ, কমিশন বিজেপির হয়ে কাজ করছে। সেই প্রসঙ্গেও দিলীপ ঘোষের কটাক্ষ ছিল, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা না শুনলেই সে বিজেপি হয়ে যাবে। পুলিশও এখন বিজেপি হয়ে গেছে।'
advertisement
কিন্তু এরপরই দলীয় সভায় উপস্থিত হয়ে চরম বিতর্কিত মন্তব্য করে বসেন দিলীপ। আমজনতাকে ভোট দেওয়ার আবেদন জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, 'আপনারা সকাল সকাল গিয়ে লাইন দিয়ে ভোট দিন। সেন্ট্রাল ফোর্স বুথে থাকবেই। কেউ গায়ের জোর দেখালে তো আমরা আছি। আর বাড়াবাড়ি করলে জায়গায়-জায়গায় শীতলকুচি হবে।' আর বিজেপির রাজ্য সভাপতির এহেন মন্তব্যে ফের তুমুল বিতর্ক শুরু হয়েছে।
তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের কটাক্ষ, 'দিলীপ ঘোষ মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছেন। নাহলে ভোটের সময় এমন কথা কেউ বলতে পারেন না। আর কমিশন যে বিজেপির হয়ে কাজ করছে, তা তো স্পষ্ট। এর আগেও বিজেপি নেতারা বলেছিলেন, সেন্ট্রাল ফোর্সকে বুকে চালাতে বলব। আজ তারই ফল দেখা যাচ্ছে।'
প্রসঙ্গত, বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীও ওই ঘটনায় কাঠগড়ায় তুলেছেন মমতাকেই। তাঁর অভিযোগ, 'শীতলকুচিতে প্রথম বারের ভোটারকে খুন করেছে তৃণমূল আর বাকি চারজনের মৃত্যুর জন্য দায়ী মুখ্যমন্ত্রীর উস্কানি। মুখ্যমন্ত্রীর উস্কানি ও প্ররোচনাতেই গিয়েছে চারটি প্রাণ।' তাঁর সংযোজন, 'বাংলাদেশের স্লোগান ধার করেন মুখ্যমন্ত্রী। খেলা হবে থেকে সব স্লোগানই ধার করা।' তাঁর মতে,'দেশবিরোধী কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। চারটে রাজধানী গড়ার কথা বলেন।'
