জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার বিকেলে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে ফোন করেন অগ্নিমিত্রা। জানান, 'হাড়োয়া ও হিঙ্গলগঞ্জে বিজেপির বহু মহিলা কর্মী ঘরছাড়া। তাঁদের ঘরে ফেরানোর ব্যবস্থা করুন।' আর অগ্নিমিত্রার ফোন পাওয়ার সঙ্গেসঙ্গেই হাড়োয়া ও হিঙ্গলগঞ্জের দলীয় নেতৃত্বকে জ্যোতিপ্রিয় নির্দেশ দেন, অবিলম্বে ঘরে ফেরাতে হবে এলাকার বিজেপি কর্মীদের।
বিধায়ক পদে শপথ নিয়েই অগ্নিমিত্রা বলেছিলেন, 'মহিলাদের উপর অত্যাচার রুখতে কথা বলব। আমি জিতেছি অনেক লড়াই করে। আমার এলাকায় কোনও হিংসা অশান্তি হতে দেব না।' আর তার পরপরই দলের মহিলা কর্মীদের পাশে দাঁড়াতে ইতিবাচক পদক্ষেপ নিলেন আসানসোল দক্ষিণের বিধায়ক।
advertisement
অপরদিকে, নতুন দফতরের দায়িত্ব পেয়েছেন জ্যোতিপ্রিয়। রাজ্যের নতুন বনমন্ত্রী হিসাবে মঙ্গলবার দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন তিনি। তাঁর আগে ওই দফতরের দায়িত্বে ছিলেন তৃণমূলত্যাগী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর আমলে বন সহায়ক পদে বিপুল দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। সেই দফতরের দায়িত্ব নিয়েই জ্যোতিপ্রিয় জানিয়েছেন, 'আমি মনে করি নিয়োগে স্বচ্ছতা আনা দরকার। তাই নিয়োগ করার ক্ষেত্রে দফতর নিজের হাতে না রেখে কোনও একটা সার্ভিস কমিশনকে এর দায়িত্ব নিক।' সূত্রের খবর, রাজ্য চাইছে এই নিয়োগ হোক পাবলিক সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে।
প্রসঙ্গত, ভোটের কিছু আগেই উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন বনাঞ্চলে বন সহায়ক পদে নিয়োগ করা হয়েছে। নিয়োগের বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছিল, বনবস্তির বাসিন্দাদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। ইতিমধ্যেই যাঁরা স্বেচ্ছায় বন-জঙ্গল রক্ষার কাজ করছেন, সুবিধা পাবেন তাঁরাও। কিন্তু বাস্তবে সেই নিয়ম না মেনে দুর্নীতির আশ্রয় নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।
