জানা গিয়েছে, কামারহাটিতে (Kamarhati) ১০৭ নম্বর বুথের মধ্যে হঠাৎই অসুস্থ বোধ করতে থাকেন ওই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়ের এজেন্ট অভিজিৎ সামন্ত। অসুস্থতা বোধ করায় সঙ্গেসঙ্গেই তিনি মেঝেতে শুয়ে পড়েন। বমিও করতে থাকেন। সেই সময়ই হৃদরোগে আক্রান্ত হন তিনি। তড়িঘড়ি তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। কিন্তু ততক্ষণে সব শেষ। মেজর হার্ট অ্যাটাকে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। যদিও বিজেপির অভিযোগ, অসুস্থ হয়ে পড়লেও অভিজিৎ বাবুকে কোনওরকম সাহায্য করা হয়নি। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। মৃত্যুর কারণ জানতে চেয়ে রিপোর্টও চাওয়া হয়েছে।
advertisement
এদিকে, সকাল থেকেই 'খবরে' কামারহাটির তৃণমূল প্রার্থী মদন মিত্র (Madan Mitra)। কামারহাটি কেন্দ্রের অধীন আড়িয়াদহের একটি বুথে মদন মিত্রকে ঢুকতে বাধা দেয় কেন্দ্রীয় বাহিনী। এরপরই কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে বাকবিতণ্ডাতে জড়িয়ে পড়েন মদন। অভিযোগ, বুথে ঢোকার সময় মদন মিত্রর বুক পকেট সার্চ করার চেষ্টা করে বাহিনী। আর তাতেই বেজায় চটে যান তৃণমূল প্রার্থী। বুক পকটে থেকে ঠাকুরের ছবি বের করতে-করতে মদনকে বলতে শোনা যায়, 'আই অ্যাম মদন মিত্র। কাকে ভয় দেখাচ্ছো, মদন মিত্রকে? পকেট সার্চ করছে!'
এদিন সকাল সকালই অবশ্য দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে পুজো দেন মদন। হাতে পুজোর কাপড়, কপালে বজরংবলির তিলক, পরনে ধবধবে সাদা পাঞ্জাবি, চোখে চিরচেনা সানগ্লাসে সজ্জিত মদন নিজের ভোটও দেন হীরালাল কলেজে। দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে পুজো দেওয়ার প্রসঙ্গ তুলেও তিনি বললেন, 'আমি বরাবর এখানে পুজো দিই। মানসিক জোর পাই।' আর জয়ের ব্যাপারে কতটা আত্মবিশ্বাসী তিনি? মদনের জবাব, 'মদন মিত্রর পকেটে মদনের ভোট রয়েছে। মানুষ তৈরি এসপার নয়, ওসপার করার জন্য।'
