জানা গিয়েছে, মৃত যুবকের নাম ঋষভ অধিকারী। বনগাঁর (Bangaon) ট-বাজার এলাকার বাসিন্দা তিনি। অন্যান্য দিনের মতোই শুক্রবার সকালে ঘুম থেকে উঠে ছাদে গিয়েছিলেন ঋষভ। সেখানে জামা কাপড় শুকতে দেওয়ার জন্য জিআই তার টাঙানো ছিল। সেই তারে হাত দিতেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন ঋষভ। কোনওভাবে বিষয়টি বুঝতে পেরেছিলেন ঋষভের মা মিতাদেবী। ছুটে গিয়েছিলেন ছাদে। ছেলেকে স্পর্শ করতেই ওই মহিলাও বিদ্যুৎস্পষ্ট হন। ছাদে পড়ে ছটফট করতে থাকেন দু'জন।
advertisement
খবর পেয়ে ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা। মা-ছেলেকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসকরা দু’জনকেই মৃত বলে ঘোষণা করেন৷ মৃত যুবকের বাবা তপন অধিকারী জানিয়েছেন, বাড়ির বিদ্যুতের তারের কিছু সমস্যার কারণেই এই দুর্ঘটনার শিকার হন মা-ছেলে! ঘটনার আকস্মিকতায় স্তব্ধ তপন বাবু।
উল্লেখ্য, এদিনই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে হাওড়ার (Howrah) দাসনগরের শিয়ালডাঙার বাসিন্দা হেমন্ত সিংয়ের। টানা বৃষ্টিতে তাঁর বাড়ির নিচতলায় জল ঢুকে যায়। সাবধানী হয়ে মিটার বক্সের মেইন সুইচ বন্ধ করতে নেমেই চরম বিপদের মুখে পড়েন হেমন্ত। মেইন সুইচ বন্ধ করে ফিরতে দেরি হচ্ছে দেখে পরিবারের লোকজন খোঁজ নিতে যান। দেখেন জমা জলে উপুড় হয়ে পড়ে রয়েছেন হেমন্ত। তিনিও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েছেন বলেই প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। কিছুক্ষনের চেষ্টায় বাঁশ দিয়ে সরিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় এক চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। পরিজনদের দাবি, ওই চিকিৎসক হেমন্তর চিকিৎসা করতে চাননি। তাই হাওড়া জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। তবে চিকিৎসকরা জানান, মৃত্যু হয়েছে হেমন্তের।
