পরিবারের দাবী, গদাধর রায় বয়সে সেঞ্চুরি পার করেছেন। তবে মনে তিনি বৃদ্ধ হননি। ছাত্র জীবনেই রাজনীতিতে এসেছিলেন। মানুষের জন্য সব সময় কিছু করার তাগিদই তাঁকে জীবনে চলার পথ দেখিয়ছে। আর সেই তাগিদ থেকে শতায়ু গদাধর রায় রবিবার নিজের ইচ্ছায় মরণোত্তর দেহদান করবার অঙ্গীকার পত্রে সইও করলেন। করোনা অতিমারির মাঝে দাঁড়িয়ে চিকিৎসা বিজ্ঞানের পড়ুয়াদের কথা ভেবেই তাঁর এই অঙ্গীকার। রবিবার মসলন্দপুর বিজ্ঞান ও চেতনা মঞ্চের প্রতিনিধিদের ডেকে নেন তাঁর বাড়িতে।
advertisement
মসলন্দপুর বিজ্ঞান ও চেতনার মঞ্চের প্রতিনিধিদের সামনে বসিয়ে নিজে হাতে স্বাক্ষর করলেন নিজের মরণোত্তর দেহদানের অঙ্গীকার পত্রে। গদাধর রায়ের ইচ্ছা তাঁর মৃত্যুর পরে তাঁর দেহ যেন নিয়ে যাওয়া হয় কলকাতা মেডিকেল কলেজে। সেই মেডিকেল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা দেখুক, পরীক্ষা করুক, নতুন জ্ঞান অর্জন করুক তাঁর দেহের অংশ থেকে, এটাই চান গদাধর রায়। তাঁর এই দেহ দান থেকে উদ্বুদ্ধ হোক নতুন প্রজন্ম, আবেদন তাঁর।
দিনের নির্দিষ্ট সময় খাওয়ার খাওয়া, তাও আবার দুবারের বেশী নয়। দিনে তিনবেলা ব্রাশ করা। আর সময়ে সময়ে কাজকর্ম করা নিজের ঘরের মধ্যেই। দিনে দুটো করে খবরের কাগজ পড়া অবশ্যিক কাজ তাঁর কাছে। মাঝেমধ্যে এই বয়সেও পাড়ার রাস্তা দিয়ে হাঁটতে যাওয়া। এখনও এই ভাবেই নির্দিষ্ট ছন্দে চলছে তাঁর জীবন।
গদাধর রায় ছোট থেকেই রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন । পরবর্তীতে দলিল লেখকের কাজ করতেন । স্ত্রী ২০১৮ সালে মারা গিয়েছেন । তিন ছেলে তিন মেয়ের বাবা তিনি। গদাধর বাবুর ছেলে পঙ্কজ রায়ের দাবি, ১৯১৯ সালের আষাঢ় মাসে তাঁর বাবার জন্ম। যদিও কাজগপত্রে সঠিক হিসেব নেই তার। তাতে কী, সেঞ্চুরি পেরিয়েও তিনি যা করলেন, তা প্রশংসা কুড়োচ্ছে সর্বস্তরে।
