TRENDING:

Body Donate: এখনও 'যুবক', সেঞ্চুরিতে মরনোত্তর দেহ দান! এই প্রজন্মকে শিক্ষা বনগাঁর বৃদ্ধের

Last Updated:

Body Donate: উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁর বাসিন্দা গদাধর রায় মরনত্তর দেহ দান করলেন। এই পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কুঁড়ির মাঠ এলাকায় তাঁর বাড়ি।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#বনগাঁ: নেতা বা অভিনেতা কিংবা আরও অনেকের কাছেই বয়সটা শুধুমাত্র সংখ্যা মাত্র। শতায়ু বৃদ্ধের কাছে তা নিছক সংখ্যা নয়। মরণের ওপারে কী আছে?  কিন্তু অনেকে আছেন, যাঁদের কাছে সেই প্রশ্নের থেকেও বড় হয়ে ওঠে আরেক প্রশ্ন, কী দিয়ে যাচ্ছি এই পৃথিবীকে? এমনই এক ব্যক্তি হলেন বনগাঁর গদাধর রায়। উত্তর ২৪ পরগনার  বনগাঁর বাসিন্দা তিনি। এই পুরসভার  ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কুঁড়ির মাঠ এলাকায় তাঁর বাড়ি।
advertisement

পরিবারের দাবী, গদাধর রায় বয়সে সেঞ্চুরি পার করেছেন। তবে মনে তিনি  বৃদ্ধ হননি। ছাত্র জীবনেই রাজনীতিতে এসেছিলেন। মানুষের জন্য সব সময় কিছু করার তাগিদই তাঁকে জীবনে চলার পথ দেখিয়ছে। আর সেই তাগিদ থেকে শতায়ু গদাধর রায়  রবিবার নিজের ইচ্ছায় মরণোত্তর দেহদান করবার অঙ্গীকার পত্রে সইও করলেন। করোনা অতিমারির মাঝে দাঁড়িয়ে চিকিৎসা বিজ্ঞানের পড়ুয়াদের কথা ভেবেই তাঁর এই অঙ্গীকার। রবিবার মসলন্দপুর বিজ্ঞান ও চেতনা মঞ্চের প্রতিনিধিদের ডেকে নেন তাঁর বাড়িতে।

advertisement

মসলন্দপুর বিজ্ঞান ও চেতনার মঞ্চের প্রতিনিধিদের  সামনে বসিয়ে নিজে হাতে স্বাক্ষর করলেন নিজের মরণোত্তর দেহদানের অঙ্গীকার পত্রে। গদাধর রায়ের ইচ্ছা তাঁর  মৃত্যুর পরে তাঁর দেহ যেন নিয়ে যাওয়া হয় কলকাতা মেডিকেল কলেজে। সেই মেডিকেল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা দেখুক, পরীক্ষা করুক, নতুন জ্ঞান অর্জন করুক তাঁর দেহের অংশ থেকে, এটাই চান গদাধর রায়। তাঁর এই দেহ দান থেকে উদ্বুদ্ধ হোক নতুন প্রজন্ম, আবেদন তাঁর।

advertisement

দিনের নির্দিষ্ট সময় খাওয়ার খাওয়া, তাও আবার দুবারের বেশী নয়। দিনে তিনবেলা ব্রাশ করা। আর  সময়ে সময়ে কাজকর্ম করা নিজের ঘরের মধ্যেই। দিনে দুটো করে খবরের কাগজ পড়া অবশ্যিক কাজ তাঁর কাছে। মাঝেমধ্যে এই বয়সেও পাড়ার রাস্তা দিয়ে হাঁটতে যাওয়া। এখনও এই ভাবেই নির্দিষ্ট ছন্দে চলছে তাঁর জীবন।

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
কান্দির শতাব্দী প্রাচীন রাস উৎসবের সূচনা! রাধাবল্লভ মন্দিরে ভক্তদের ঢল
আরও দেখুন

গদাধর রায় ছোট থেকেই রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন । পরবর্তীতে দলিল লেখকের কাজ করতেন । স্ত্রী ২০১৮ সালে মারা গিয়েছেন । তিন ছেলে তিন মেয়ের বাবা তিনি। গদাধর বাবুর ছেলে পঙ্কজ রায়ের দাবি, ১৯১৯ সালের আষাঢ় মাসে তাঁর বাবার জন্ম। যদিও কাজগপত্রে সঠিক হিসেব নেই তার। তাতে কী, সেঞ্চুরি পেরিয়েও তিনি যা করলেন, তা প্রশংসা কুড়োচ্ছে সর্বস্তরে।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Body Donate: এখনও 'যুবক', সেঞ্চুরিতে মরনোত্তর দেহ দান! এই প্রজন্মকে শিক্ষা বনগাঁর বৃদ্ধের
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল