বর্তমানে অশোকনগর কোভিড হাসপাতালে দশ জন আ্যম্বুলেন্স চালক আছেন। মাত্র দু‘জন করোনা ভ্যাক্সিনের প্রথম ডোজ পেয়েছেন।বাকিরা হাসপাতাল কর্তাদের মুখের দিকে তাকিয়েই আছেন। কবে তাদের ভাগ্যের শিকে ছেঁড়ে। এই সব অ্যাম্বুলেন্স চালকদের দাবি তাঁদেরও পরিবার আছে।অন্যকে বাঁচাতে তারাও সমান ভাবে করোনাকে চ্যালেঞ্জ করছেন।এই হাসপাতালের আ্যাম্বুলেন্স চালক প্রশান্ত বৈদ্যের দাবি যে করোনা অতিমারির শুরু সময় থেকেই অসুস্থ করোনায় আক্রান্ত মানুষকে বাড়ি থেকে নিয়ে এসে হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে আসছেন তাঁরা। সাধারন মানুষ করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তির কথা শুনলে ছিটকে পালায়।সেই সময় তারা সেই আক্রান্তের কাছে পৌছে গিয়ে অসুস্থকে হাসপাতালে পৌছে দেন। আবার সুস্থ হলে সে মানুষকে তাঁর পরিবারের কাছে পৌছে দেন।
advertisement
গত এক বছর ধরে করোনার বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য কর্মীদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যুদ্ধে সামিল হয়ে রয়েছেন তাঁরা। তাঁদের আক্ষেপ এ রাজ্য ভোট কর্মীরা করোনার টিকা পেয়ে গেলে প্রথম সারির যোদ্ধা হিসাবে তাঁদের কপালে জুটল না টিকা। প্রথম অবস্থায় করোনার ভয়াবহতা না বুঝলেও বর্তমানের করোনার দ্বিতীয় ওয়েভ তাঁদের প্রাণেও ভয় ঢুকিয়েছে। পিপিই, মাস্ক, গ্লাভস পড়ে গাড়ির স্টিয়ারিং ধরলে মনে একটা আতঙ্ক রয়েছে সব সময় মত আর এক আ্যাম্বুলেন্স চালক তরুন প্রামানিকের।
হাসপাতালের বড় কর্তাদের কাছে পৌছাতে পারেন না তাঁরা এই সহজ কথাটা সহজ ভাবেই বললেন তিনি। তরুন প্রামানিকের দাবি হাসপাতালের অন্য কর্মীদের কাছে টিকার দরবার তারা করেছেন।কিন্তু আজও মেলেনি টিকার আশ্বাস। আর তাই স্বাস্থ্য কর্মীদের মত তাদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা দেওয়া হক সেই দাবির কথাও বলেন তাঁরা।এই কোভিড হাসপাতালের দশ জন আ্যাম্বুলেন্স চালকের মধ্যে মাত্র দু‘জন টিকা পেয়েছেন। বাকি আট জন চালককে টিকা সরকার দিয়ে দিলে তাঁরাও ভয় মুক্ত হতে পারেন দাবি অশোকনগর কোভিড হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স চালকদের। সদ্য নির্বাচিত অশোকনগরের বিধায়ক নারায়াণ গোস্বামী জানান সমস্যার কথা তাঁর নজরে এসেছে।জেলা স্বাস্থ্য দফতরের কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা তিনি করবেন।
RAJARSHI Roy
