TRENDING:

Bengal Bjp: কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বৈঠকে নেই ৩ বিধায়ক, BJP-র অন্দরে প্রবল গোষ্ঠীকোন্দলের অভিযোগ!

Last Updated:

Bengal Bjp: বনগাঁ জেলা অফিসে বৈঠকে বসেছিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত। বিধানসভা নির্বাচনের সময় বারবার রাজ্যে আসা এই মন্ত্রী এদিনের সভা থেকে পরাজিত দলকে চাঙ্গা করার চেষ্টা করেন।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#বনগাঁ: শনিবার দুপুরে বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার নেতাদের নিয়ে বনগাঁ জেলা অফিসে বৈঠকে বসেছিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত। বিধানসভা নির্বাচনের সময় বারবার রাজ্যে আসা এই মন্ত্রী এদিনের সভা থেকে পরাজিত দলকে চাঙ্গা করার চেষ্টা করেন। তবে বিধানসভা নির্বাচনের ফলের নিরিখে উত্তর ২৪ পরগনায় বিজেপির বনগাঁ সংগঠনিক জেলার ফল সবচেয়ে ভাল। এখানকার চারটি বিধানসভাই জিতেছে তাঁরা। মতুয়া অধ্যুষিত বনগাঁয় গত লোকসভা নির্বাচন থেকে সিএএ চালু করা বড় ইস্যু। খোদ দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ঠাকুর নগরে এসে সেই আশ্বাস দিয়ে গিয়েছেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের ঘোষণা ছিল, বিধানসভা ভোট মিটলেই রাজ্যে সিএএ লাগু করে সব উদ্বাস্তু মানুষকে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। আর আজ সেই বনগাঁয় দাঁড়িয়ে আর এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ঘোষনা সিএএ আইন হয়েছে। তাই একদিন তা লাগু হবেই। তবে আপাতত কিছুই হচ্ছে না, তা তিনি আকারে ইঙ্গিতে পরিস্কার করে দেন। তার দাবি, সিএএ লাগু করতে রাজ্যের একটা বড় ভূমিকা থাকে। রাজ্যে ক্ষমতায় বিজেপি আসেনি।
advertisement

তবে, গুরুত্বপূর্ণ এই সংগঠনিক বৈঠকে দেখা মেলেনি বাগদার বিজেপি বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস, বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক অশোক কির্তনীয়া ও গাইঘাটার বিধায়ক সুব্রত ঠাকুরের। বিধায়ক, সাংসদদের পাশাপাশি বৈঠকে দেখা যায়নি বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক দেবদাস মণ্ডলকেও । কেন তাঁরা এলেন না? বিধায়ক অশোক কীর্তনীয়া জানিয়েছেন, তিনি ঘুরতে গিয়েছেন। অনেক আগেই পরিকল্পনা করা ছিল তার।

advertisement

বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস, গাইঘাটার বিধায়ক সুব্রত ঠাকুরের প্রতিক্রিয়া অবশ্য মেলেনি। বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সম্পাদক দেবদাস মণ্ডল ফোনে জানিয়েছেন, তিনি ব্যক্তিগত কাজে দিল্লিতে আছেন। সভাপতির সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে ।

৩ বিধায়কের অনুপস্থিতি প্রসঙ্গে গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত বলেন, 'অনেকের ব্যক্তিগত কাজ বা পূর্ব পরিকল্পিত কর্মসূচি থাকতে পারে৷ যারা এসেছে তাদেরকে নিয়েই মিটিং হবে।'

advertisement

পাশাপাশি সিএএ রাজ্যে কবে লাগু হবে,  সেই প্রশ্নের উত্তরে তিনি  বলেন, "সিএএ আইন যখন হয়েছে, তা প্রয়োগ হবেই। প্রয়োগের ক্ষেত্রে রাজ্যের বড় ভূমিকা থাকে।''  প্রসঙ্গত বনগাঁর সাংসদ ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের সঙ্গে  জেলা সভাপতিদের বিরোধ বেঁধেছে।দুজনের অনুগামীরা এখন আড়াআড়ি ভাবে বিভক্ত হয়ে গিয়েছেন৷ বিভিন্ন কর্মসূচিতে একপক্ষ গেলে আরেক পক্ষকে দেখা যায় না।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
কান্দির শতাব্দী প্রাচীন রাস উৎসবের সূচনা! রাধাবল্লভ মন্দিরে ভক্তদের ঢল
আরও দেখুন

তৃণমূলের উত্তর ২৪ পরগনা জেলা কো-অর্ডিনেটর গোপাল শেঠ বলেন, "গতানুগতিক কথাই বলতে হয়। ভারতীয় জনতা পার্টির বনগাঁয় যা দুরবস্থা তাতে পার্টিতে কেউ থাকতে চাইছে না।' কেন্দ্রী মন্ত্রীকে খাজা, গজা বলে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, 'নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহ আগে বাংলায় ডেলি প্যাসেঞ্জারি করছেন। তারাই এখন খাজা গজাদের পাঠাচ্ছেন।' সিএএ প্রসঙ্গে গোপাল শেঠ বলেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলে দিয়েছে বাংলায় সিএএ হবে না ।'

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Bengal Bjp: কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বৈঠকে নেই ৩ বিধায়ক, BJP-র অন্দরে প্রবল গোষ্ঠীকোন্দলের অভিযোগ!
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল