পুজোর আয়োজক কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, কোন এক সময় ঐ এলাকায় মহামারী দেখা দিয়েছিল। একে একে মহামারীতে আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছিল গ্রামের মানুষ। সেই সময় গ্রামবাসীরা আজকের দিনে রক্ষাকালি মাতার পুজোর উদ্যোগ নেন। জানা যায়, সূর্য ডোবার পর শুরু হয় প্রতিমা তৈরির প্রক্রিয়া। মাটি দিয়ে প্রতিমা তৈরির পরেই সেই প্রতিমা কালো রং করা হয়।
advertisement
আরও পড়ুন: হাজার হাজার কোটির মালিক 'হাওয়ালা' সুকুমারের জীবনযাত্রা কেমন ছিল? কী বলছেন প্রতিবেশীরা?
রঙ করা শেষ হতেই প্রতিমা তুলে নিয়ে গিয়ে স্থাপন করা হয় গ্রামের মন্দিরে। রাতেই আয়োজন করা হয় পুজোর। সারা রাত পুজো হওয়ার পর ভোর নাগাদ সূর্য উদয়ের আগেই বিসর্জন দেওয়া হয় এই জাগ্রত রক্ষাকালি মাকে। পুজোকে ঘিরে বসে একরাতের মেলা। দূরদূরান্ত থেকে কয়েক হাজার মানুষ আসেন পুজো দিতে। প্রায় তিন শতাধিক পাঠা বলি দেওয়া হয় এই এক রাতেই।
জঙ্গলমহল শালবনী ব্লকের কর্নগড় অঞ্চলের এই প্রাচীন কঠোর নিয়মের কালী পূজো সম্পর্কে অনেকেই হয়তো জানেন না। স্থানীয় মানুষদের কাছ থেকে শোনা যায়, এই প্রতিমা তৈরিতে ব্যবহার করা হয় মদ, যদিও প্রতিমা তৈরির সময় মৃৎশিল্পী ছাড়া আর কাউকেই প্রবেশ করতে দেওয়া হয় না সেই গৃহে বলে স্থানীয় মানুষদের দাবি।