ওই দিন সন্ধ্যা থেকে টানা চলছিল উদ্ধার অভিযান। অবশেষে প্রায় ৪৫ ঘণ্টা পর উদ্ধার হল দেহ। শনিবার বেলা ১টা ৪৫ নাগাদ দমকল, সিভিল ডিফেন্স ও ডুবুরিদের মিলিত প্রচেষ্টায় দেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়। তার আগে শনিবার সকাল থেকে ঘটনা ঘিরে তুমুল বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন খড়গপুর শহরের আরামবাটি এলাকার বাসিন্দারা।
advertisement
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রেলের এলাকায় অবস্থিত ওই অবৈধ জলাশয়ে তলিয়ে যাওয়া দুই কিশোরের নাম আকাশ সিং চৌহান (১৭) ও সঞ্জীব রাও (১৯)। দু’জনেরই বাড়ি ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের আরামবাটি সংলগ্ন নিমপুরা এলাকায়। আকাশ হিতকারণী হাইস্কুলের দ্বাদশ শ্রেণীর পড়ুয়া বলে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে টানা উদ্ধার অভিযান চালানোর পরও অবশেষে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে দুই কিশোরের দেহ।
দমকল, সিভিল ডিফেন্সের কর্মীদের সঙ্গেই নামানো হয় ডুবুরিদের। তাতেও দেহ উদ্ধার না হওয়ায় শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে ওই জলাশয়ের জল বের করার কাজ শুরু করে পুলিশ-প্রশাসন। তবে, এই বিষয়ে সম্পূর্ণ উদাসীন ছিল রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। এমনই অভিযোগ তুলে শনিবার সকাল থেকে আরামবাটি এলাকায় পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান বাসিন্দারা। তাঁদের ক্ষোভের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
এলাকাবাসীদের দাবি, ওই জায়গা রেলের। রেল ওখান থেকে মোরাম তোলার পর, সেখানে বিশাল খাদের সৃষ্টি হয়েছে আর। সেই খাদেই জল জমে তা গভীর জলাশয়ে পরিণত হয়েছে। অথচ বৃহস্পতিবার থেকে এই বিষয়ে রেলের কোনও হেলদোল দেখা যায়নি। এ নিয়েই ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। শনিবার তাই আরামবাটি এলাকা দিয়ে যাওয়া রেলকর্মীদের গাড়ি আটকে তাঁরা বিক্ষোভ দেখান।
আরও পড়ুন-
রেলকর্মীদের উদ্ধার করতে এলে আরপিএফ-কে ঘিরেও বিক্ষোভ দেখানো হয়। পরে পথ অবরোধও করেন এলাকাবাসী। ঘটনা ঘিরে শনিবার দুপুরে তুমুল উত্তেজনা দেখা যায় আরামবাটি এলাকায়। অবশেষে বেলা দেড়টা নাগাদ দেহ উদ্ধার হওয়ায় নেমে আসে শোকের ছায়া। জেলা পুলিশের এক আধিকারিক এবং স্থানীয় কাউন্সিলর নাগেশ রাও জানিয়েছেন, প্রায় ৪৫ ঘণ্টা পর দেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। পরিবারের তরফে দেহ শনাক্ত করার পর তা পাঠানো হবে খড়গপুর মহকুমা হাসপাতালে।
Shankar Rai