বনদফতর সূত্রে জানা যায় কুমিরটি মাঝবয়সী। লম্বায় প্রায় ৫ ফুট ২ ইঞ্চি।বনদফতরের কর্মীরা মনে করছেন অনুকূল প্রাকৃতিক পরিবেশ থাকার কারণেই নদী সংলগ্ন এই কাটা খালি খালে কুমিরটি অন্য কোথাও থেকে ভেসে আসতে পারে। কেন না এই অঞ্চলে কুমির আছে বলে মনে করছেন না বনদফতরের কর্মীরা। যদিও নন্দীগ্রামে কুমিরের খোঁজ এর আগেও মিলেছে।
advertisement
বনদফতর সূত্রে খবর, প্রায় দেড় বছর আগে নন্দীগ্রামের একটি খালে কুমিরের বাচ্চার খোঁজ মিলেছিল। সেই সময় বনদফতর থেকে এলাকায় নজরদারি চালানো হয় পূর্ণাঙ্গ দৈর্ঘ্যের কোন স্ত্রী কুমির রয়েছে কিনা। কিন্তু সে সময় ঐ বাচ্চা কুমীর ছাড়া আর কোনো কুমিরের খোঁজ মিলেনি। তার প্রায় দেড় বছর পর এদিন অর্থাৎ ২৪ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার নন্দীগ্রামে কুমিরের খোঁজ মিলল। বনদফতরের কর্মীরা মনে করছেন, পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ভূপ্রকৃতি নদী-নালা খাল-বিলে সম্প্রতি আবার বনদফতরের রক্ষণাবেক্ষণে বাড়ছে উপকূলীয় অরণ্য এলাকার পরিমাণ। প্রকৃতির নিয়মেই নতুন বাসস্থানের খোঁজে কুমিরটি নদীতে ভেসে চলে আসতে পারে। বর্তমানে কুমিরটিকে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য বনদফতরের নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়েছে।বনদফতর সূত্রে খবর, প্রাথমিক চিকিৎসার পর কুমিরটিকে মাঝ নদীতে ছেড়ে দেওয়া হবে।