শুক্রবার সন্ধ্যায় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেস এবং বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস। একই সঙ্গে দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয় একটি মালগাড়িও। এই ৩ ট্রেনের দুর্ঘটনায় ওড়িশার বালাসোর এখন মৃত্যুপুরী। রেল দুর্ঘটনায় উদ্ধারকাজ, আহতদের চিকিৎসা চলছে বিভিন্ন হাসপাতালে।
advertisement
পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায় জেলার এখনও পর্যন্ত মোট ৭৩ জন ওই করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় পড়েছেন। এ পর্যন্ত পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় এই দুর্ঘটনায় দুজন মারা গেছে। সামান্য আহত অবস্থায় বাড়ি ফিরেছে বিশ্বজিৎ ও তাঁর সঙ্গীরা।
এই ভয়াবহ দুর্ঘটনার আতঙ্কের ছাপ এখনও বিশ্বজিতের চোখে মুখে। ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে বিশ্বজিৎ জানান, যে মুহূর্তে দুর্ঘটনা ঘটে সেই সময় তিনি বাড়ির লোকের সঙ্গে ফোনে কথা বলছিলেন। হঠাৎই বিকট আওয়াজ করে ট্রেন দুলে ওঠে। প্রচন্ড ঝাঁকুনি লাগে। তার পর শুধু চিৎকার। তাদের এস-টু কামরাটি অন্য একটি কামরার ওপর উঠে পড়ে। ওই কামরার সামনের দিক পুরো দুমড়ে মুচড়ে গিয়েছে। পুরো ঘটনার পর তাঁর নিজের স্বাভাবিক হতে প্রায় ১০ মিনিট কেটে যায়। সঙ্গীদের খোঁজ করা শুরু করেন। তাদের খুঁজে পেয়ে ওই কামরার পিছন দিকের এমার্জেন্সি জানালা ভেঙে বেরিয়ে আসেন। বলেন, ‘‘কপালজোড়ে প্রাণে বেঁচেছি আমরা।’’





