এলাকাবাসির মতে, প্রতিটি ওয়ার্ডে জমা পড়ছে নানাবিধ অভিযোগ যার তৎক্ষনাৎ সমাধান সূত্র মিলছে। নাগরিকদের ওয়ার্ড অফিসে আসতে বেশ কিছুটা সময় ব্যয় করতে হয়, তাছাড়া ওয়ার্ড অফিসগুলি নির্ধরিত সময়ে খোলা থাকত। এবার নিমেষে বাড়ি থেকেই অভিযোগ জানানোর জন্য হলদিয়া পৌরসভায় চালু হতে চলেছে হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর। পৌরবাসীদের হাতের মুঠোয় পৌরসভা পৌঁছে দিতে উদ্যোগী হয়েছেন হলদিয়া পৌর প্রশাসক সুপ্রভাত চট্টোপাধ্যায়। এই সপ্তাহেই চালু হচ্ছে হলদিয়া পৌরসভার হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর। এমনিতে ওয়ার্ডগুলিতে থেকে দ্রুত পরিষেবা মেলায় হলদিয়া পৌর প্রশাসকের কাজের তারিফ করছে নাগরিকদের একাংশ।
advertisement
হলদিয়া মহকুমাশাসক হলদিয়া পৌরসভার কার্যভার নেওয়ার পর পৌর এলাকায় আমূল পরিবর্তন আনতে চলেছেন হলদিয়া মহকুমাশাসক তথা পৌর প্রশাসক। নাগরিকদের স্বাচ্ছন্দের কথা মাথায় রেখে নিয়মিত হলদিয়া পৌরসভায় সময় করে বসছেন পৌর প্রশাসক। ওয়ার্ডগুলিতে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখার উপর পৌর কর্মীদের কড়া নির্দেশ দিয়েছেন। পৌর সূত্রে খবর , সপ্তাহে এক বার করে এলাকা ব্লিচিং করা বাধ্যতামূলক। এমনকি ওয়ার্ডগুলিকে পরিস্কার রাখার উপর ওয়ার্ডভিত্তিক প্রতিযোগিতার কথা ভাবছেন। শুধু পৌর এলাকা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন নয় পৌর নাগরিকদের চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়ক সজাগ দৃষ্টি নবনিযুক্ত পৌর প্রশাসকের।
হলদিয়া পৌরসভার সূত্রে জানা যায় ট্রমা অ্যামবুলেন্স চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। শিল্পশহর হলদিয়ায় মাঝে মধ্যেই দূর্ঘটনা ঘটতেই থাকে , এমনি প্রানহানির ঘটনা ঘটে থাকে। শিল্পাঞ্চলে কোথাও দুর্ঘটনা ঘটলেই দ্রুত পরিসেবা দিতে খুবই দরকার ট্রমা অ্যাম্বুলান্স। গুরুতর আহতর পরিবারদের মিলবে নুতন করে আশার মন্ত্র। প্রসঙ্গত হলদিয়া পৌরসভার আর্থিক খরচে এই ট্রমা অ্যামবুলেন্সটি কয়েক বছর আগে কেনা হলেও কাজে লাগাতে পারেনি। ত্রুটিযুক্ত ট্রমা অ্যামবুলেন্সকে ত্রুটিমুক্ত করার জন্য ইতিমধ্যে মেরামতির কাজ শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ মায়ের থেকে শিশুর দেহে সংক্রমণ নির্মূল সপ্তাহ পালন করল জেলা স্বাস্থ্য দফতর
চলতি মাসের মধ্যে ট্রমা অ্যাম্বুলেন্স চালু হবে। এছাড়াও হলদিয়া পৌর এলাকায় স্ট্রীট লাইটগুলি দ্রুত সারানো উদ্দোগ নেওয়া হয়েছে । হলদিয়া পৌরসভার প্রশাসনিক ক্ষমতা হলদিয়া মহকুমাশাসকের হাতে চলে আসার পর নুতন পদ্ধতিতে নানা পরিসেবা পেতে চলেছে নাগরিকবৃন্দ। হলদিয়া পৌরসভার ২৯ টি ওয়ার্ডে নাগরিকদের পরিষেবা দেওয়ার অফিস চালু করা হয়েছে। ওয়ার্ড অফিস থেকে পাওয়া যাবে উপযুক্ত পরিসেবা ও শংসাপত্র। হাতের নাগালের মধ্যে মিলবে যাবতীয় সুবিধা।
আরও পড়ুনঃ নভেম্বরেই চালু হচ্ছে তাম্রলিপ্ত গভর্মেন্ট মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতাল
এ বিষয়ে পৌর প্রশাসক সুপ্রভাত চট্টোপাধ্যায় বলেন, "যথারীতি পৌর পরিষেবাগুলি নাগরিকদের হাতের নাগালে আনা চেষ্টা করছি। যাতে মানুষ বাড়ির কাছেই প্রয়োজনীয় শংসাপত্রগুলি পেতে পারেন। নাগরিকদের সিংহভাগ কাজই নিজ ওয়ার্ড অফিস থেকে পাবেন। অযথা মানুষের হায়রানি কোন প্রশ্নই থাকবে না। মানুষের বর্তমানে সময় সঙ্কট। নাগরিকদের আরও দ্রুত অভিযোগ জানাতে নুতন উদ্যোগ দ্রুত কার্যকারী হবে। আরও বেশ কিছু নুতন সুবিধা নাগরিকরা পেতে চলেছেন।"
Saikat Shee