এ বিষয়ে জেলা কৃষি দফতরের আধিকারিক সুকান্ত ভট্টাচার্য বলেন, "জেলায় যে ফসলগুলি রয়েছে তার উপর শস্য বীমা দেওয়া হয়ে থাকে। যেমন বোরো ধান, আমন ধান, আলু, সরষে, মুসুর, তিল, বাদাম সমস্ত ফসলের উপর বীমা দেওয়া হয়ে থাকে। বোরো ধান, আমন ধান, আলু দেওয়া হয় গ্রাম পঞ্চায়েত অনুযায়ী। আর অন্যদিকে, সরষে, মুসুর, তিল, বাদাম দেওয়া হয় ব্লক অনুযায়ী। নির্দিষ্ট এলাকায় চাষ হলে সেটা দেখা হয় কতটা এলাকা জুড়ে চাষ হচ্ছে, তার উপর নির্ভর করে বীমার ইউনিট ঠিক হয়। পঞ্চায়েত হিসেবে বীমা হবে নাকি ব্লক হিসেবে হবে তা নির্ধারণ করা হয়। বিস্তীর্ণ এলাকা হলেই বীমার আওতায় আনা হয়। বিক্ষিপ্ত ভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে চাষ হলে তা বীমার আওতায় আনা হয় না।"
advertisement
আরও পড়ুন - IPL 2022: এলিমিনেটর ম্যাচের পর দীনেশ কার্তিক এ কী করলেন, জেনে নিন পুরো কাণ্ড
চলুন জেনে নেওয়া যাক শস্য বীমাতে কারা আবেদনের যোগ্য, আবেদন পদ্ধতি, আবেদন করলে কি কি সুবিধা পাবেন
প্রথমেই জেনে নেওয়া যাক শস্য বীমাতে কারা আবেদনের যোগ্য
কৃষককে পশ্চিমবঙ্গের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে।জমির মালিক/ভাগচাষী সকলেই বাংলা শস্য বীমা প্রকল্পের সুবিধা পেতে পারেন। এই স্কিম অনুসারে, আবেদনকারীরা ফসলের ক্ষতির সম্মুখীন হলে কেবল বীমা কভারেজ পান। তাই সুবিধাভোগীকে কর্তৃপক্ষের কাছে ক্ষতির সঠিক প্রমাণ এবং জমির দলিল সহ প্রয়োজনীয় নথি জমা দিতে হবে। উল্লেখ্য, কেসিসি (Kisan Credit Card) থাকলে লোণ এবং বীমা দুটির জন্য আবেদন করাই সহজ হবে। তবে নতুন নির্দেশিকা অনুসারে কেসিসি না থাকলেও এই বীমা করা যাবে।
কোন কোন ফসলের উপর বীমা পাবেন
বোরো ধান, আমন ধান, আলু, মুসুর, সরষে, তিল, বাদাম শস্যগুলি বীমার অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
কোন ফসলে কত প্রিমিয়াম দিতে হবে কৃষককে
ধান, সরষে, মুসুর, তিল, বাদামশস্যগুলি বীমার প্রিমিয়ামের সম্পূর্ণ অর্থ পশ্চিমবঙ্গ সরকার পরিবহন করছে। তবে শুধুমাত্র আলু এবং আখ এই দুটি বাণিজ্যিক ফসলের জন্য কৃষককে সর্বাধিক ৪.৮৫% প্রিমিয়াম জমা দিতে হবে। অবশিষ্ট প্রিমিয়াম রাজ্য সরকার বহন করবে। জেলায় আলু চাষের পরিমাণ বেশি তাই অন্যান্য আলু চাষীদের সর্বাধিক ৪.৮৫% প্রিমিয়াম জমা দিতে হয়।
আবেদন পদ্ধতি
অনলাইনে এই ফসল বীমা যোজনার আবেদন করতে হলে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের ওয়েবসাইট ‘মাটির কথা’ থেকে সরাসরি আবেদন করতে পারবেন। লিঙ্কটি হল -https://banglashasyabima.net
রেজিস্ট্রেশনের জন্য কৃষক উপরের এই লিঙ্কে ক্লিক করে ফার্মার কর্নার-এ নিজের নাম নথিভুক্ত করে প্রয়োজনীয় তথ্য পরস্পর পূরণ করে সাবমিট করতে পারেন।
আর যদি কেউ অফলাইনে আবেদন করতে চান তাহলে এই ফর্ম কৃষকরা নিকটবর্তী গ্রাম পঞ্চায়েত, কিষাণ মান্ডি বা ব্লক অফিস থেকে সংগ্রহ করতে পারেন।
ফর্ম পূরণ
কৃষকের নাম, পিতার/স্বামীর নাম, ঠিকানা- মৌজা/গ্রামের নাম ইত্যাদি তথ্য কৃষককে পূরণ করতে হবে। অধিসূচিত ফসল অর্থাৎ কোন ফসলের জন্য বীমা করছেন, জমির পরিমাণ এবং জমির দলিল, ভোটার কার্ড, আধার কার্ড, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের ডিটেলস, কৃষকবন্ধু প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত থাকলে তার নম্বর। সকল তথ্য বিশদে পূরণ করার পর ফর্মে কৃষকের নিজস্ব স্বাক্ষর করতে হবে অথবা আঙুলের ছাপ দিতে হবে। এরপর তা জমা দিন।
Malobika Biswas