আরও পড়ুন: মধ্যরাতের শখ! মাতলা সেতুতে বন্ধুদের সঙ্গে বেপরোয়া বাইক চালাতে গিয়ে সব শেষ
কেতুগ্রাম ব্লকে মোট ১৭৩ টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র আছে। যার মধ্যে ৯৮ টি কেন্দ্রের নিজস্ব ভবন থাকলেও, বাকি ৭৫ টির পাকা ভবন বা ঘর নেই। যার ফলে খোলা আকাশের নিচেই চলে কাজকর্ম। এই প্রসঙ্গে কেতুগ্রামের বিরাহিমপুর লাইনপাড়া ১১৯ নম্বর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মী অনিতা দে বলেন, কী করব, জায়গা না থাকার জন্য এইরকম হচ্ছে। বিডিও সাহেবকে একাধিক বার বলেও সমস্যার সমাধান হয়নি, ঘর হচ্ছে না। অন্যদিকে শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের এই বেহাল অবস্থা নিয়ে মুখ খুলেছেন স্থানীয় মানুষও। এই নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দা সুদীপ্ত বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, দীর্ঘদিন ধরেই খোলা আকাশের নিচে রান্না হচ্ছে। খাবারের স্বচ্ছতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। এই ১১৯ নম্বর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটিতে একটি সরু গলির মধ্যে রান্না করা হয়। যার মাথায় কোনও চাল নেই। এমনকি বৃষ্টি হলেও এই একই অবস্থায় রান্না করতে বাধ্য হন অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মীরা। কেতুগ্রাম-২ ব্লকের তালার পাড় এলাকার ১৪৫ নম্বর কেন্দ্রটির নিজস্ব ভবন না থাকায় গ্রামবাসীদের বাড়ি বাড়ি পালা করে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র চলে। এখানে রোজ শিশু ও গর্ভবতী মহিলা নিয়ে ৭০ জনের রান্না হয়।
advertisement
প্রসঙ্গত প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও স্থায়ী সমাধান হয়নি। এই সমস্যার কথা মেনে নিয়েছেন কেতুগ্রাম-২ ব্লকের সিডিপিও কৌস্তব দাশগুপ্ত। মেনে তিনি দ্রুত ভাঙা অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র সংস্কার এবং যাদের ভবন নেই সেগুলি দ্রুত তৈরির আশ্বাস দেন।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী