বর্ধমান শহরের বাসিন্দা আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় ২০১৬ সালে কৃষি দফতরে চাকরির বিজ্ঞপ্তি দেখে আবেদন করেন। ২০১৬ সালের ১৮ মার্চ একটি পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেখেন আশিস। সেই বিজ্ঞপ্তিতে দেখা যায় রাজ্য কৃষি দফতরে কৃষি প্রযুক্তি সহায়ক পদে ৮১৮ জন নিয়োগ করা হবে বলে জানানো হয়। যোগ্যতা ছিল উচ্চ মাধ্যমিক। বেতনক্রম ছিল ৫৪০০-২৫২০০ টাকা৷ সেই মতো আশিসবাবু আবেদন করেন। কিন্তু আবেদন করার পর থেকে প্রায় সাত বছর তাঁর কাছে পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ড বা আনুষাঙ্গিক কিছু আসেনি।
advertisement
আরও পড়ুন: অন্ধকার দামোদরের পাড়ে একা কাঁদছে কিশোর! উদ্ধারের পর কারণ শুনে চমকে গেল পুলিশ
কিন্তু হঠাৎই গতকাল ১ নভেম্বর, বেলা একটা নাগাদ ডাকযোগে কৃষি দফতরের সেই পরীক্ষার একটি অ্যাডমিট কার্ড পান তিনি। যা পেয়ে রীতিমতো উচ্ছ্বসিত হন আশিসবাবু। কিন্তু অ্যাডমিট খুলেই হতবাক হয়ে যান তিনি। কারণ পরীক্ষা হয়ে গিয়েছে প্রায় সাত বছর আগে ২০১৬ সালের ১৮ ডিসেম্বর। যা দেখে কার্যত মুষড়ে পড়েন আশিসবাবু। তিনি চাইছেন এই ঘটানার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হোক। কার ভুলে তাকে এই খেসারত তাঁকে দিতে হল, তা প্রকাশ্যে আসুক। বিষয়টি নিয়ে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করার কথাও ভাবছে তিনি।
এই ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে চরম রাজনৈতিক বিতর্ক। বিরোধী দলগুলি একযোগে শাসক দল ও রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে। তাদের অভিযোগ, যেভাবে রাজ্যে শিক্ষা ও পুরসভায় সহ একাধিক যায়গায় দুর্নীতি হচ্ছে এটাও তার অংশ। এখানেও দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের। যাঁরা চাকরি পাওয়ার যোগ্য, তাঁদের নাম ইচ্ছাকৃত ভাবে বাদ দিয়ে দলের লোক চাকরি পেয়েছে বলে অভিযোগ তাদের। অবিলম্বে এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত দাবি করেছেন বিরোধীরা। যদিও শাসক দলের সাফাই, অ্যাডমিট কার্ড ডাকযোগে এসেছে। যদি কোনও গলদ থেকে থাকে তাহলে তা ডাক দফতরের অধীনে হয়েছে।