পূর্ব বর্ধমান : কয়েকদিন ধরেই দাবানলের মতো দিনরাত আগুন জ্বলছে জঙ্গলে। পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের জঙ্গলমহলে কি ভাবে আগুন লাগলো, কবে আগুন নিভবে তার কিছুই ঝুঝে উঠতে পারছেন না সেখানকার বাসিন্দারা। আগুনের ব্যপ্তি ঘটে চলায় আতঙ্ক বাড়ছে জঙ্গলের আশপাশের বাসিন্দাদের মধ্যে। বনকর্মীরা আউশগ্রামের আদুরিয়ার জঙ্গলে আগুন জ্বলতে দেখেন। জঙ্গলের বন্য জীব-জন্তুরা আগুন দেখে আরও গভীর জঙ্গলে চলে যাচ্ছে বুঝতে পারেন বনকর্মীরা। তাই আউশগ্রাম বিট হাউসের বনকর্মী দমকল কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেন। যদিও আগুন এখনও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রনে আনা যায় নি বলে দাবি আউশগ্রামের জঙ্গলনহলের বাসিন্দাদের। আউশগ্রাম ও কাঁকসার বিস্তির্ণ গভীর জঙ্গল এলাকা পূর্ব বর্ধমানের জঙ্গলমহল হিসাবেই পরিচিত। এখানকার জঙ্গল মহলের আদুরিয়ায় রয়েছে নানান বন্যপ্রাণী ও ময়ূর। সম্প্রতি আউশগ্রামের জঙ্গলে অজগর সাপ, প্যাঙ্গোলিন, সজারু, ইন্ডিয়ান উলফ বা হেঁরোল, বনমুরগি, বনবিড়ালের মত প্রাণীর উপস্থিতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বেশ কয়েকটি ময়ূরও রয়েছে জঙ্গলে। আগের তুলনায় ময়ূরের সংখ্যা বেশ কিছুটা বেড়েছে বলেও জানা গিয়েছে বন দপ্তর সূত্রে। তবে অগ্নিকান্ডের জেরে বন্যপ্রাণীদের অস্তিত্ব সংকটের মধ্যে পড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে । বাসিন্দাদের অভিযোগ, গত ২৪ মার্চ থেকে আদুরিয়া বিটের হেদগড়া, জালিকাঁদর, ফাঁড়ি জঙ্গল মৌজার গড়কেল্লায় একের পর এক জঙ্গলে আগুন জ্বলতে শুরু করে। পরিকল্পিত ভাবে আদুরিয়ার জঙ্গলে আগুন লাগাণো হয়েছে বলে মনে করছেন তাঁরা । জেলা বন বিভাগের আধিকারিক নিশা গোস্বামী জানান, আউশগ্রাম ও কাঁকসার বিস্তির্ণ জঙ্গলে বিবিন্ন জায়গায় গত কয়েকদিন ধরেই আগুন লাগার ঘটনা ঘটছে। বনকর্মী ও দমকল কর্মীরা যৌথ ভাবে সেই আগুন নেভানোর কাজ করে যাচ্ছে। কিন্তু হঠাৎ করে কিভাবে জঙ্গলে আগুন লাগলো ও জঙ্গলে এক এর পর এক জায়গায় আগুন কি ভাবে লাগছে সেটা নিয়ে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।