জেলা স্বাস্থ্য দফতরের মতে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা কমছে। এটা একটা স্বস্তির দিক। গত সপ্তাহগুলিতে আক্রান্তের সংখ্যা ৬০ ছাড়িয়ে যাচ্ছিল। গত এক সপ্তাহে তা ৫৪-তে এসে দাঁড়িয়েছে। আগামী সপ্তাহগুলিতে আক্রান্তের সংখ্যা আরও কমবে বলে আশা করছেন স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা।
পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের জনস্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ বাগবুল ইসলাম বলেন,"শীতের মরশুম শুরু হতেই ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা কমতে শুরু করেছে। তবে শীত থমকে রয়েছে। জাঁকিয়ে শীত পড়লে আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটাই কমবে বলে আশা করা হচ্ছে"। বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সুপার তাপস ঘোষ বলেন,"দিন দিন হাসপাতালে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে ভর্তির সংখ্যা কমছে। এটা একটা ভালো দিক।"
advertisement
তবে স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা বলছেন, আক্রান্তের সংখ্যা কমলেও বাসিন্দাদের সচেতন থাকতে হবে। এত বেশি সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হওয়ার পরও বাসিন্দাদের মধ্যে অনেকেরই মশারি না খাটিয়ে ঘুমানোর প্রবণতা রয়েছে। এই প্রবণতা দূর করতে হবে। এ ব্যাপারে লাগাতার প্রচার চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সেই সঙ্গে কোথাও যাতে জল জমা থেকে মশার বংশবিস্তার না হয় সে ব্যাপারেও সতর্ক নজর রাখা হচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ চিকন শরীরে উষ্ণতার আবেদন, চিনে নিন বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড তারকার লাস্যময়ী বান্ধবীকে
বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা জানিয়েছেন, ডেঙ্গির মশা সাধারণত দিনের বেলা কামড়ায়। তাই সূর্য ডোবার আগে মশা যাতে না কামড়ায় সে সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে। শিশু এবং বয়স্কদের দিনের বেলাতেও তাই মশারির মধ্যে রাখা প্রয়োজন। সেই সঙ্গে বাড়ির আশপাশে যাতে আগাছা না জন্মায়, জল যাতে না জমে থাকে সে ব্যাপারে বাসিন্দাদের সচেতন থাকতে হবে। এবার বর্ষা অনেক দেরিতে এসেছিল। সে কারণেই এখনও ডেঙ্গুর এই বাড়বাড়ন্ত বলে জানিয়েছেন গবেষকরা।
Saradindu Ghosh
