বর্ধমান স্টেশনকে অনেক ক্ষেত্রে করিডর হিসেবে ব্যবহার করছে পাচারকারীরা। অনেক ক্ষেত্রে স্টেশনে ট্রেন ঢোকার আগেই ফেলে দেওয়া হচ্ছে কচ্ছপ ভর্তি ব্যাগ। এরপর তা সড়ক পথে পাচার করা হচ্ছে বিভিন্ন পণ্যের আড়ালে।
আরও পড়ুন:‘চারটে মন্ত্রিত্ব নিয়ে বসেছিলেন, তখন বলেননি কেন?’ দুর্নীতি নিয়ে শুভেন্দুকে প্রশ্ন অভিষেকের
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে কচ্ছপ পাচারে যুক্ত এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল বর্ধমান স্টেশনের রেল পুলিশ। জিআরপি তার কাছ থেকে ১৪৬ টি কচ্ছপ উদ্ধার করেছে। ধৃত ব্যক্তির নাম আশিস হালদার। বাড়ি নদিয়া জেলার চাকদহে।
advertisement
বর্ধমান স্টেশনে ছয় ও সাত নম্বর প্ল্যাটফর্মে এই ব্যক্তিকে হাতে ব্যাগ নিয়ে ঘোরাঘুর করতে দেখেন কর্মরত জিআরপির কর্মীরা। এর পরই তাকে আটক করে তল্লাশি চালানো হয়। তল্লাশিতে তার কাছে থাকা নয়টি ব্যাংগ থেকে ১৪৬ টি জ্যান্ত কচ্ছপ উদ্ধার হয়।
এরপর বন দফতরকে খবর দেওয়া হয়। বন দফতরের কর্মীরা এলে তাদের হাতে কচ্ছপ গুলি তুলে দেওয়া হয় । ধৃত আশিস হালদারকে বর্ধমান আদালতে তোলা হয়।
জিআরপি সূত্রে জানা গেছে, ধৃত ব্যক্তি আসানসোলের দিকে ছয় ও সাত নম্বর প্ল্যাটফর্মে ঘোরাঘুরি করছিল। তখনই তাকে ধরে জিআরপি। তবে কার কাছ থেকে সে কচ্ছপ নিয়ে এসেছিল এবং কার কাছে বিক্রি করার পরিকল্পনা ছিল, তা জানা যায়নি। এই গোটা বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে বর্ধমান জিআরপি।
রেল পুলিশ জানিয়েছে, আগে পূর্ব বর্ধমান জেলার শক্তিগড়, মেমারির বিভিন্ন বাজারে লুকিয়ে কচ্ছপের মাংস বিক্রি করা হতো। এখন সেই প্রবণতা অনেকটাই বন্ধ হয়েছে। এখন বিহার উত্তর প্রদেশ থেকে আনা কচ্ছপগুলি অন্যত্র পাচার করা হয়। সম্ভবত ওই কচ্ছপগুলি বর্ধমান স্টেশনে হাতবদল হতো। তার আগেই তা বাজেয়াপ্ত করে জিআরপি।
News18 Bangla এবার Whatsapp-এ, এক ক্লিকেই খবরের আপডেট জানতে সাবস্ক্রাইব করুন