বিশ্বজিৎ বারুই নামের এক বড়ি ব্যবসায়ী জানান, ওঁর মা বহু বছর আগে নৈহাটিতে ঘুরতে যান। সেখানে গিয়েই উনি দেখেন যে, বড়ি তৈরি হচ্ছে । তারপর সেটা দেখে এসে কলকাতা থেকে মেশিন কিনে এনে সুকান্তপল্লি গ্রামে শুরু করেন বড়ির ব্যবসা। আজ ওঁর মা না থাকলেও গ্রাম জুড়ে সকলেই এখন বড়ির ব্যবসা করেন। জানা গিয়েছে, গ্রামের কেউ ২০ বছর, কেউ ২৪ বছর, আবার কেউ কেউ ৩০ বছর ধরে এই বড়ি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন ।
advertisement
গ্রাম ঢুকলেই চোখে পড়বে মাঠে রোদের মধ্যে সারিবদ্ধ ভাবে চলছে বড়ি শুকনোর কাজ । প্রায় প্রত্যেকেই ব্যস্ত থাকেন তাঁদের বড়ি তৈরির কাজে । মুগ ডাল , কলাইয়ের ডাল আবার বিউলি ডাল দিয়েও বড়ি তৈরি হয় । বড়ি তৈরির জন্য আগের দিন রাতে জলের মধ্যে ডাল ভিজিয়ে রাখা হয়। পরের দিন সকালে সেই ডাল পিষে , ফেঁটে তারপর মেশিনের সাহয্যে বড়ি দেওয়া হয়। সেই বড়ি দুদিন ধরে রোদে শুকিয়ে, তারপর প্যাকেজিং হয়ে বিক্রির জন্য বেরিয়ে যায় বিভিন্ন জায়গায়। তবে দীর্ঘদিন ধরে এই বড়ি ব্যবসা করে আসা ব্যবসায়ীদেরবেশ কিছু আর্জি রয়েছে সরকারের কাছে।
আরও পড়ুন: গোটা লাক্সারি বাস চুরি, জ্যামে আটকে ধরা পড়ল চোর!
আরও এক বড়ি ব্যবসায়ী জানান, বর্ষার সময় বড়ি শুকোতে ওঁদের খুবই অসুবিধা হয়। এছাড়াও বড়ি প্যাকেজিং করতে শিল্পীদের অনেক সময় নষ্ট হয়। তাই ওঁরা চাইছেন, একটি ড্রায়ার এবং প্যাকেজিং মেশিন যদি সরকার থেকে দেওয়া হয়, তা হলে এই ব্যবসা আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন । পূর্ব বর্ধমানের সুকান্তপল্লি গ্রামের তৈরি বড়ি রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় যায় । দীর্ঘ দিন ধরে এই বড়ির ব্যবসা করে বর্তমানে বেশ ভাল রয়েছেন বড়ি গ্রামের বাসিন্দারা।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী