পলিটেকনিক কলেজে অটোমোবাইল নিয়ে পড়াশোনা করে ২০১৯ সালে কোর্স শেষ করে । তারপর শুরু হয় চাকরির চেষ্টা, কলেজ থেকে প্লেসমেন্ট দেব বলেও দেওয়া হয়নি । সরকারি চাকরির জন্য প্রস্তুতি নিলেও ব্যর্থ হয় শুভজিৎ ।
আরও পড়ুন: হেলিপ্যাড এখন ঘন আবর্জনার স্তূপ! বীরভুমের ঘটনা জানলে চোখ কপালে উঠবে
advertisement
তাই বাধ্য হয়ে বর্ধমান শহরেরই একটি হোটেলে কাজ শুরু করে । কিছুদিন পরে সে বর্ধমান ছেড়ে ব্যাঙ্গালোরের বিভিন্ন হোটেলে কাজ করতে থাকে । তার কয়েকমাস পর ভাগ্য বসত শুভজিৎ ব্যাঙ্গালোরের একটা বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করতে শুরু করে । কিন্তু সেখানে একবছর চাকরি করার পর আবার বর্ধমান ফিরে এসে এই ব্যবসা শুরু করে শুভজিৎ ।
শুভজিৎ জানায় ,”অটোমোবাইল নিয়ে পড়াশোনা করেছি গুসকরা পলিটেকনিক কলেজে। ২০১৯ সালে পাস করেছি। তারপর চাকরির জন্য চেষ্টা করেছিলাম। কলেজ থেকে প্লেসমেন্ট দেওয়ার কথা ছিল কিন্তু দেওয়া হয়নি। সরকারি চাকরির জন্য চেষ্টা করেছিলাম কিন্তু ওখানেও হয়নি।
তারপর ব্যাঙ্গালোরে একটা বেসরকারি কোম্পানিতে আমি চাকরি করছিলাম। ওখানে একবছর কাজ করার পর আমি বাড়ি চলে আসি । বাড়ি এসে তাই ভাবলাম বর্ধমান শহরের মধ্যে যদি কিছু করা যায় , তাই একটা ছোট স্টার্টআপ নিয়ে এলাম । চাকরি করে সেই শান্তি পাচ্ছিলাম না তাই নিজের ব্যবসা শুরু করলাম।”
শুভজিৎ এর বাবার নাম হিরু মাল । তিনি সাইকেল সারান, দীর্ঘদিন ধরে তিনি এই কাজই করে আসছেন । এবং বর্ধমান শহরের মধ্যে যেখানে হিরু বাবুর সাইকেলের দোকান রয়েছে সেখানেই তাঁর ছেলে শুভজিৎ এই নতুন ব্যবসা শুরু করেছে ।
এই প্রসঙ্গে শুভজিৎ এর বাবা হিরু মাল জানিয়েছেন, “ওর এটা ভাল লেগেছে তাই করছে । ক’দিন পর যদি ভাল না লাগে তখন অন্য কিছু করবে । তবে পরিবার থেকে আমরা অবশ্যই সহযোগিতা করব।”
বর্ধমান শহরের মধ্যে ৪৯ টাকায় বাসন্তী পোলাও এবং চিকেন কষা খেতে আসতে পারেন আপনিও । ইতিমধ্যেই অনেকে ভিড় জমাচ্ছেন মাত্র ৪৯ টাকায় এই দারুণ কম্বো টেস্ট করতে । ৪৯ টাকাতেই পাওয়া যাচ্ছে ২ পিস চিকেন দিয়ে বাসন্তী পোলাও।
তবে খাবারের স্বাদ কেমন? এই প্রসঙ্গে দোকানে এই কম্বো টেস্ট করতে আসা এক কাস্টমার জানান, “বর্ধমান শহরে এরকম কম্বো প্রথম দেখলাম । আজ প্রথম খাচ্ছি। খাবারের কোয়ালিটি খুব ভাল, ঠিকঠাক। আমি এই খাবার ৪৯ টাকাতেই পেয়েছি।”
বর্ধমান শহরের কার্জন গেটের বিপরীত রাস্তার দিকে এসে ডান হাতে জেলা পরিষদ বিল্ডিং পার করে এসে গীতাঞ্জলি পার্কের আগে বাম দিকে তাকালেই দেখতে পাবেন এই দোকান । বর্তমানে রবিবার বাদ দিয়ে রোজ খোলা থাকছে দোকান। তার মধ্যে শনিবার অপশনাল। রোজ দুপুর ১২ টা থেকে দোকান চালু করে শুভজিৎ।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী