গত রবিবার, অর্থাৎ ৬ অগস্ট প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভার্চুয়ালি অমৃত ভারত স্টেশন প্রকল্পের শিল্যানাশ করেন। এই ঘটনায় কালনার মানুষ যথেষ্ট খুশি। কারণ তাঁদের স্টেশনেও বিশ্বমানের হয়ে উঠতে চলেছে। কিন্তু অমৃত ভারত প্রকল্পের কাজ চলাকালীন স্টেশনে বসতে পারবেন না বর্তমান হকাররা। আর তাতেই ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত পড়ার যোগাড়। যা নিয়ে বেশ ক্ষুব্ধ তাঁরা।
advertisement
আরও পড়ুন: ১৪ বছরের জীবন্ত লাশ! ২০০৯-এর প্রাথমিক চাকরিপ্রার্থীদের জ্যান্ত মৃতদেহ নিয়ে বিক্ষোভ
এই প্রসঙ্গে অম্বিকা কালনা স্টেশনের এক দোকানদার জানান, রেল থেকে আমাদের নোটিস দিয়েছে উঠে যাওয়ার জন্য। এখন কী করব বুঝতে পারছি না। রেল থেকে যদি আমাদের একটু ব্যবস্থা করে দেয় তাহলে খুবই ভাল হয়। এতদিন দোকান বন্ধ থাকলে সংসার চলবে কী করে সেটাই বড় প্রশ্ন বলে জানান তিনি।
এই বিষয়ে রেলের অ্যাডিশনাল ডিআরএম সৌড়িশ মুখার্জি জানিয়েছেন, স্টেশন উন্নয়নের কাজ খুব তাড়াতাড়ি শুরু হবে। ২০২৪ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে সমস্ত কাজ শেষ করে ফেলা লক্ষ্য বলে জানান তিনি। যে নতুন বিল্ডিং তৈরি হবে সেটা শুধু স্টেশন হবে না, তাতে সমস্ত ফেসিলিটি থাকবে বলে জানিয়েছেন রেলওয়ে আধিকারিক। সেখানে যাত্রীদের জন্য এসি ওয়েটিং রুম, মেডিকেল স্টোর সহ আরও অনেক কিছু থাকবে। এদিকে স্টেশনের হকারদের উঠে যেতে বলা প্রসঙ্গে সৌড়িশ মুখার্জি বলেন, এই যে প্রকল্পটা নেওয়া হয়েছে এটা কালনাবাসীদের ভালর জন্যই নেওয়া হয়েছে। কারণ স্টেশন যদি ভাল হয় যাত্রী সাধারণের সংখ্যা বাড়বে। তখন এখানে যারা ব্যবসা করে তাদের আয় আরও বাড়বে। তবে স্টেশনের ব্যবসায়ী এবং দোকানদারদের পূনর্বাসন দেওয়া হবে কিনা সেই নিয়ে কিছু বলতে পারবেন না বলে জানান রেলের ওই অধিকারী। তিনি পুনর্বাসন প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, রেলের যা নিয়ম আছে সেই অনুযায়ী কাজ হবে।
এই অবস্থায় রেলের অমৃত ভারত প্রকল্পের হাত ধরে কর্মহীন হতে চলেছেন ৭৯-৮০ জন দোকানদার। এতদিনের ব্যবসার জায়গা হারিয়ে কীভাবে সংসার চালাবেন তাঁরা সেটাই এখন বড় প্রশ্ন।