বর্তমানে সারা বিশ্বে এই ভিন্টেজ গাড়ির মাত্র দুটি ইউনিটই রয়েছে। এর মধ্যে একটি ২০২২ সালে মে মাসে গাড়ি নিলামে বিক্রি হয়েছিল ১৪২ মিলিয়ন ডলারে। যার জেরে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নিলাম হওয়া সবথেকে দামি চার চাকা গাড়ির স্থানে জায়গা করে নিয়েছে Mercedes-Benz 300 SLR Uhlenhaut Coupe।
advertisement
এর আগের রেকর্ডে অবশ্য সবথেকে দামি গাড়ির তকমা পেয়েছিল একটি 1963 Ferrari 250 GTO। এই এডিশনটি ২০১৮ সালে ৭০ মিলিয়ন ডলারে বিড করা হয়েছিল। GRW-র মতে, Mercedes-Benz 300 SLR গাড়িটি ডিজাইন করেছিলেন Rudolf Uhlenhaut। আসলে সংস্থার Silver Arrows রেসিং টিমের জন্যই তিনি এটি তৈরি করেছিলেন। শুধু এর হালকা ওজনের ফ্রেমের জন্য নয়, পাশাপাশি এই গাড়ির পাওয়াট্রেন শক্তিশালী হওয়ায় তা তুমুল জনপ্রিয়তা লাভ করে। যা Mercedes-এর টাইটেল-উইনিং W196 Formula One car থেকে নিয়োগ করা হয়েছিল।
Supercar Blondie নামে একটি পেজ থেকে ইনস্টাগ্রামে জানানো হয়েছে যে, তিনি মূলত গাড়ির বিষয়ে উৎসাহী। Mercedes-Benz 300 SLR-এর টেস্ট ড্রাইভ উপভোগ করার সুযোগ পেয়েছেন তিনি। মেটা প্ল্যাটফর্মে পোস্ট করা একটি ভিডিওতে ওই ভিন্টেজ গাড়ির বিস্তারিত তথ্য ভাগ করে নিয়েছেন Supercar Blondie নামে ওই ইউজার। এই গাড়িতে রয়েছে ছোট্ট একটা কেবিন। ইন্টেরিয়রে রয়েছে লাল লেদার ফিনিশ।
আরও পড়ুন: পাশে কারও উঠলেই আপনারও ওঠে! হাই কি সত্যিই ছোঁয়াচে? …গবেষণায় উঠে এল অদ্ভুত কারণ
আসলে একটা রেসিং কার হিসেবেই এটিকে ডিজাইন করা হয়েছিল। Mercedes-Benz 300 SLR-এর বুটে রয়েছে খুব ছোট্ট জায়গা। যেখানে একটা অতিরিক্ত চাকা এবং প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ রাখা থাকে। স্টিয়ারিং রিমুভেবল এবং সিটিং অ্যারেঞ্জমেন্টটিও অসাধারণ। ওই ভিডিও-য় Supercar Blondie বলেন যে, চালকের পা রাখার জন্য কোনও জায়গা থাকে না। তাই এমন ভাবে বসতে হবে, যাতে দুটো পায়ের মধ্যে ব্যবধান থাকে।
টেলিগ্রাফ-এর প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে যে, Mercedes-Benz 300 SLR-এর নতুন মালিক হওয়ার সৌভাগ্য অর্জন করেছেন যে ব্যক্তি, তিনি সেটি রিসেল করতে পারবেন না। ৩.০ লিটার স্ট্রেট-এইট ইঞ্জিন রয়েছে এই গাড়িতে। প্রতি ঘণ্টায় সর্বাধিক ১৮০ মাইল বা ২৯০ কিলোমিটার গতি তুলতে পারে এটি। ১৯৫০ সালে লঞ্চ হওয়া গাড়িটি বিশ্বের দ্রুততম রোড কার হয়ে উঠেছে।