TRENDING:

বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক মহিলার নাম উঠল গিনিস বুকে, তাঁর দীর্ঘায়ুর রহস্য

Last Updated:

মোরেরা নামক ১১৫ বছর বয়সী একজন মহিলা গিনিস বুকে বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক মহিলা এবং সবচেয়ে বয়স্ক মানুষ হিসাবে খেতাব অর্জন করেছেন। 115 years old woman in guinness world record

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
আজকের দিনে যেখানে ব্যাস্ততাময় জীবনযাত্রার জন্য ৫০ বছর বয়সের পর থেকেই মানুষ বিভিন্ন ধরণের রোগে আক্রান্ত হয়, সেখানে ১১৫ বছর অবধি বেঁচে থাকাটা সত্যি আশ্চর্যজনক। তাছাড়া আমাদের খাদ্যাভ্যাস , জলবায়ু, স্ট্রেস , নেতিবাচক চিন্তাধারা , বিভিন্ন ধরণের সংক্রামণের আশঙ্কা আমাদের শরীরে অগুনতি সমস্যা ডেকে নিয়ে আসে। ৭০ থেকে ৮০ বছর অবধি সুস্থ্যভাবে বেঁচে থাকাটাও আমাদের কাছে অনেক বড় ব্যাপার।
advertisement

কিন্তু এই পরিস্থিতিতে মারিয়া ব্রানিয়াস মোরেরা নামক স্পেনের একজন মহিলা ১১৫ বছর বয়সে এখনও অবধি সুস্থ সবলভাবে বেঁচে আছেন। ফ্রান্সের ১১৮ বছর বয়সী লুসিল র্যান্ডনের মৃত্যুর পর গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের তালিকায় মোরেরার নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তিনি এখন বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বয়স্ক জীবিত মহিলা এবং সবচেয়ে বেশি বয়সের মানুষ হিসাবে খ্যাতি অর্জন করেছেন। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস (GWR) তাদের সম্পর্কে ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্ট শেয়ার করেছে।

advertisement

১৯০৭ সালে ৪ঠা মার্চ ক্যালিফোর্নিয়ার সান ফ্রান্সিসকোতে মোরেরার জন্ম হয়। এরপর তিনি স্পেনে ফিরে আসেন এবং কাতালোনিয়াতে বসতি স্থাপন করেন। তিনি তখন থেকেই ওই জায়গাটিকে 'হোম' বলেই জানেন। রেকর্ড সাইটে বলা হয়েছে যে তিনি বিগত ২২ বছর ধরে একই নার্সিং হোম - রেসিডেনসিয়া সান্তা মারিয়া দেল তুরাতে বসবাস করছেন।

১৯৩১ সালে তিনি বিয়ে করেছিলেন এবং তার তিনটি সন্তান, ১১ জন নাতি-নাতনি এবং ১৩ জন পরনাতি-পরনাতনি রয়েছে।

advertisement

আশ্চর্য্যের ব্যাপার হল এই বয়সেও তিনি টুইটারে সক্রিয় তবে এইক্ষেত্রে তিনি তার মেয়ের সাহায্য পুরোপুরিভাবে পান। মোরেরার মতে "শৃংখলা, শান্তি, পরিবার এবং বন্ধুদের সঙ্গে ভাল সংযোগ, প্রকৃতির সঙ্গে যোগাযোগ, মানসিক স্থিতিশীলতা, কোন উদ্বেগ , অনুশোচনা না থকা , প্রচুর পজিটিভিটি এবং বিষাক্ত মানুষ থেকে নিজেকে দূরে রাখা এইসব তার দীর্ঘায়ুর জন্য দায়ী ।" তিনি আরও বলেছেন “আমি মনে করি দীর্ঘায়ুও সৌভাগ্যের ব্যাপার। ভাগ্য এবং ভাল জেনেটিক্স।" পোস্টটি এখানে দেখুন-

advertisement

advertisement

হোমের একটি বিবৃতিতে জানা গেছে "তিনি ভাল স্বাস্থ্যে আছেন এবং এই বছর বার্ষিকী উৎযাপনে সবার মনোযোগ দেওয়ার জন্য তিনি বিস্মিত এবং কৃতজ্ঞ হতে চলেছেন। " তারা আরও বলেছেন "এই বিশেষ অনুষ্ঠানটি উদযাপন করার জন্য আমরা আগামী দিনগুলিতে আবাসনের বন্ধ দরজার পিছনে একটি ছোট উদযাপন করব। "

সাইটটিতে উল্লেখ করা হয়েছে , মোরেরা সত্যি খুবই ভাগ্যবান। তিনি উভয় বিশ্বযুদ্ধ, স্প্যানিশ গৃহযুদ্ধ এবং স্প্যানিশ ফ্লু মহামারী থেকে বেঁচে ফায়ার এসেছিলেন। শুধু তাই নয় তার ১১৩ তম জন্মদিন উদযাপনের মাত্র কয়েক সপ্তাহ পরে ২০২০ সালে তিনি কোভিড -19 এর বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন। খুব শিগগির সুস্থও হয়ে উঠেছিলেন তিনি।

২০২৩ সালের প্রথম দিনে, তার টুইট পড়ে সবাই অবাক হয়ে গেছিলেন যেখানে তিনি লিখেছিলেন : “জীবন কারো জন্য চিরন্তন নয়… আমার বয়সে, একটি নতুন বছর আমার কাছে একটি উপহার, একটি নম্র উদযাপন, নতুন অ্যাডভেঞ্চার, সুন্দর ভ্রমণ, সুখের মুহূর্তের মতন। আসুন একসাথে জীবন উপভোগ করি।"

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
লালগোলাতে রাজরাজেশ্বরী রূপে পূজিতা হন মা কালী! দেওয়া হয় ইলিশের ভোগ
আরও দেখুন

এটি পোস্টটি পড়লে আপনার মনেও বেঁচে থাকার আগ্রহ জন্মাবে এবং মোরেরার জীবনকাহিনী সকলের কাছে অনুপ্রেরণা হয়ে বেঁচে থাকবে।

বাংলা খবর/ খবর/পাঁচমিশালি/
বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক মহিলার নাম উঠল গিনিস বুকে, তাঁর দীর্ঘায়ুর রহস্য
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল