বাড়িতে থাকা অবস্থায় হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হন অ্যারিজোনার বাসিন্দা টিনা হাইন৷ তাঁর স্বামী একাধিক বার তাঁকে সিপিআর দিয়ে বাঁচানোর চেষ্টা করলেও কোনও ফল হননি৷ যতক্ষণে তাঁদের বাড়িতে প্যারামেডিক্যাল টিম পৌঁছেছে, টিনা নীল হতে শুরু করে দিয়েছিলেন৷
এমনকি, অ্যাম্বুল্যান্সেও তাঁর হৃদযন্ত্র ফের চালু করার চেষ্টা করেন স্বাস্থ্যকর্মীরা৷ কিন্তু অসফল হন৷ শেষে, হাসপাতালে ঘটে মিরাকল৷ হাসপাতালে ডিফাইব্রিলেটর ব্যবহারের পরেই ফের চালু হয় টিনার হৃদযন্ত্র৷ এর মাঝে ২৭টা মিনিট কেটে গিয়েছে৷ অর্থাৎ, এই ২৭ মিনিট কার্যত মৃতই ছিলেন টিনা৷
advertisement
আরও পড়ুন: সিঁদুর খেলা থেকে ভাসান, জমিয়ে নাচ রানির! বাঙালি সাজে চমকে দিলেন কাজলও, দেখুন ছবি
চিকিৎসকেরা জানান, সাধারণত, ৫-১০ মিনিট যদি মস্তিষ্কে অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ থাকে, তাহলে হয় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির মস্তিষ্ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়, নয় তিনি মারা যান৷ টিনার ক্ষেত্রে এই সময়টা ছিল ২৭ মিনিট৷ কিন্তু, তা-ও তাঁর মস্তিষ্কে কোনও সমস্যা দেখা দেয়নি৷
টিনার পরিবার সূত্রের খবর, পরের দিন সংজ্ঞা ফিরে পাওয়া মাত্রই একটি কাগজে পরপার নিয়ে কী যেন একটা লেখেন৷ প্রথমে তো সেই লেখার কিছুই বুঝতে পারেননি টিনার মেয়ে৷ স্বামী অনেকক্ষণ ধরে স্ত্রীয়ের লেখা দেখে বুঝতে পারেন, তাতে লেখা রয়েছে, ‘ইট ইস রিয়েল’, এটা সত্যি৷ কোনটা সত্যি? যন্ত্রণা? হাসপাতাল? কোনটা? প্রশ্ন করেন তাঁর স্বামী৷ টিনা ঘাড় নেড়ে ‘না’-এ জবাব দেন৷ তখন তাঁর মেয়ে তাঁকে প্রশ্ন করেন, তাহলে কি ‘স্বর্গ’, হেভেন? টিনা উত্তর দেন হ্যাঁ৷
আরও পড়ুন: আরও পড়ুন: বীভৎস মুখ, ভয়ঙ্কর চেহারা! আপনার আশপাশেই থাকে এই প্রাণী, কিসের ছবি বলুন তো? হু হু করে ভাইরাল
টিনা পরে নিজের মুখে জানিয়েছিলেন, পরপারে তিনি এক অদ্ভুত জ্যোতি দেখতে পেয়েছিলেন৷ উজ্জ্বল এবং হলুদ এক আলো৷
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিলেন, ওই ঘটনায় টিনার মস্তিষ্কে কোনও সমস্যা তৈরি হয়নি৷