ঘটনাটি ইস্তানবুল থেকে সাইপ্রাস যাওয়ার পথে ঘটে। নীল বোরখা ও সানগ্লাস পরিহিতা ওই মহিলা জানালার পাশে বসে ছিলেন। হঠাৎই তিনি সিগারেট ধরিয়ে ধোঁয়া টেনে নিয়ে বোরখা টেনে নামিয়ে কেবিনের ভেতরে ছাড়তে থাকেন। বিমান চলাকালীন ধূমপান কড়া ভাবে নিষিদ্ধ হলেও তিনি তা প্রকাশ্যে লঙ্ঘন করেন। গন্ধে ফাঁস হয়ে যাওয়ার পর সামনের সারির এক যাত্রী ঘুরে তাকিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত হন এবং সিটের কভার সরিয়ে দেন। কেবিন ক্রুরা দ্রুত এগিয়ে এসে সিগারেটটি কেড়ে নেন।
advertisement
একের পর এক নেতা খুন! ‘আইন-শৃঙ্খলার ভার কি শুধু ওসিদের উপর?’ গর্জে উঠলেন মমতা!
জবা ফুল ফুটবে টবেও! মানুন এই ৯টি নিয়ম, প্রতি দিন পুজোর ফুলে উপচে পড়বে গাছ!
এরপর পরিস্থিতি আরও জটিল হয়। ওই মহিলা লাইটার বের করে সিটের কভার পুড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। তারপর সাদা কাপড়ের একটি টুকরোতে আগুন ধরানোর চেষ্টা করেন। ক্রুরা সঙ্গে সঙ্গে হস্তক্ষেপ করে লাইটার কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় আরেকজন ক্রু সদস্য জল ভর্তি বোতল নিয়ে এসে আগুন নেভান।
এই ভিডিওটি সোমবার, ১১ আগস্ট দ্য সান X-এ (টুইটার) শেয়ার করে, যা ২৫ লক্ষেরও বেশি ভিউ হয়। নেটিজেনদের একাংশ তাঁর আচরণের তীব্র নিন্দা করেন এবং উড়ানের নিরাপত্তা বিধি লঙ্ঘনের সমালোচনা করেন। আবার কেউ কেউ জানান, ঘটনাটি নতুন নয়, বরং বহু বছর আগের।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঘটনাটি ঘটেছিল ২০১৯ সালে। সেই সময়কার ভিডিওতে দেখা যায়, ইস্তানবুল থেকে উত্তর সাইপ্রাসগামী বিমানে ওই মহিলা বিমানবন্দরে ট্যাক্সি করাকালীন চিৎকার করে বলেন— “আমি ফেতো (FETO) সদস্য, আমি বিমান উড়িয়ে দেব।” পরে তাঁকে আটক করে পুলিশ।
তিনি নাকি গুলেন সংগঠনের সদস্য ছিলেন, যেটি তুরস্কে ‘ফেতুল্লাহ টেররিস্ট অর্গানাইজেশন’ (FETO) এবং ‘প্যারালাল স্টেট স্ট্রাকচার’ (PDY) নামে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন হিসেবে ঘোষিত। এই সংগঠনই ২০১৬ সালে তুরস্কে ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানের পিছনে ছিল।