ভিডিওটির শুরুতে পবিত্র নদীর ধারে দাঁড়িয়ে থাকা মহিলাকে বিকিনি এবং গলায় ফুলের মালা পরে থাকতে দেখা যায়। তাঁকে হাত জোড় করে প্রার্থনা করতে এবং শ্রদ্ধা জানাতেও দেখা গিয়েছে। জলে মালা দেওয়ার পর তিনি স্নান করেন এবং সাঁতার কাটতে শুরু করেন। যদিও তাঁর এই আচরণ অনেকের কাছে অসম্মানজনক বলে মনে হয়নি, আবার অনেকে ভারতের সবচেয়ে সম্মানিত নদীর পবিত্রতার প্রতি অমর্যাদাজনক বলে সমালোচনাও করেছেন।
advertisement
কেউ কেউ বিদেশিনীকে সমর্থন করেছেন
একদিকে অনেক সোশ্যাল মিডিয়া ইউজার তাঁর পক্ষে দাঁড়িয়ে বলেছেন যে, তার উদ্দেশ্য ভুল নয়, তা মনেও হচ্ছে না। একজন ইউজার মন্তব্য করেছেন, ‘কিন্তু স্নান করার সময় মেয়েটির উদ্দেশ্য ভুল ছিল না।’ আরেকজন ডুয়াল মরালিটির দিকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘পুরুষরা নেংটি পরে স্নান করলে দোষ হয় না কেন?” আবার কেউ কেউ বলছেন, ‘তাঁকে ঘৃণা করবেন না। আমার মনে হয় তিনি এই বিষয়ে বেশি ভাবেননি।’
আরও পড়ুন- ‘দেহব্যবসা করেই কামিয়েছি…!’ টয়লেটে থরে থরে সাজানো লাখ লাখ টাকা, আয়কর হানায় কেলেঙ্কারি ফাঁস হিট নায়িকার, চিনতে পারলেন?
সাংস্কৃতিক সংবেদনশীলতা নিয়ে অনলাইনে প্রতিক্রিয়া
তবে, সকলেই এই বিষয়ে একমত নন। ইন্টারনেটের একটি অংশ এই আচরণের তীব্র সমালোচনা করে বলেছে যে, এই ধরনের আচরণ ভারতীয় ঐতিহ্যের বিরুদ্ধে। তাঁদের মতে, এটি ধর্মীয় অনুভূতির প্রতি অসংবেদনশীলতা তুলে ধরেছে। সেই দল অন্যদের সমালোচনা করে বলেছে, এই লোকেরা এমন সব কিছুকে সমর্থন করতে পারে যা তাদের ধর্মনিরপেক্ষ এবং মুক্তমনা দেখায়। আরেকটি মন্তব্যে লেখা হয়েছে, ‘আমি ভাবছি কেন লোকেরা বাধা দেয়নি।’
এই বিতর্কের মাঝখানে একজন ব্যক্তি তাঁর মতামত শেয়ার করার জন্য হাস্যকৌতুকের পথ বেছে নিয়েছিলেন। তিনি লিখেছিলেন, ‘লাক্স কোজি চাড্ডি পহেন কর নাহানেওয়ালে চাচা কো সমস্যা হো রহি হোগি।’ এই ঘটনাটি আবারও সাংস্কৃতিক শ্রদ্ধা এবং ব্যক্তিগত অভিব্যক্তির মধ্যে সূক্ষ্ম ভারসাম্য বজায় রাখার প্রসঙ্গ তুলে ধরেছে। বিশেষ করে ঋষিকেশের মতো আধ্যাত্মিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে, যেখানে প্রতি বছর হাজার হাজার বিদেশি পর্যটক আসেন। ভারতীয়দের কাছে গঙ্গা কেবল একটি নদী নয়, তিনি দেবী, সংস্কৃতি ও ধর্মের প্রতীক হিসাবে সম্মানিত। ফলে যখন দর্শনার্থীরা প্রচলিত রীতিনীতির বিপরীত আচরণ করেন, তখন তা বিতর্কের জন্ম দেয়।