তাঁর এই উদ্যোগ নিয়েই পোস্ট করেছেন কোশা। ট্যুইটারে লিখেছেন 'আমাদের পরিচারিকা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরি করেছেন। যাতে তাঁর ছুটি নেওয়ার পরিকল্পনা প্রত্যেক পরিবারের লোকজন জানতে পারেন।' লেখার পর হাসির ইমোজিও দিয়েছেন কোশা। তাঁর এই ব্যঙ্গ বিদ্রূপ নিতে পারেননি নেটিজেনরা। বলেছেন, অসংগঠিত ক্ষুদ্র ক্ষেত্রে কাজ করেন বলেই গৃহ সহায়িকাকে নিয়ে এই পোস্ট কোশা করতে পেরেছেন। ট্যুইটারেত্তিদের জিজ্ঞাসা, কোশা নিজে ছুটি নিলে কি তাঁর অফিসের সহকর্মীদের জানাবেন না? প্রথাগতভাবে নিযুক্ত নন বলেই ব্যঙ্গ বিদ্রুপের শিকার হতে পারেন না একজন গৃহসহায়িকা। মত নেটিজেনদের।
advertisement
আরও পড়ুন : পাত্রী সাংবাদিক, ছাত্রছাত্রীদের পড়ানোর মাঝে বিয়ে করলেন ‘ফিজিক্সওয়ালা’
ট্যুইটারে তাঁর এই পোস্টের জেরে নিমেষে ক্লাসিস্ট বা শ্রেণীসচেতন তকমা পেয়ে গিয়েছেন কোশা। তাঁকে তীব্র আক্রমণ করে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের বক্তব্য, পরিচারিকাও তাঁর গৃহকাজের কর্মী। তিনিও উপার্জনই করেন। তাই তাঁকে নিয়ে এভাবে উপহাস করার কোনও অধিকার নেই কোশার। কোনও নেটিজেনের বক্তব্য, বাড়ির পরিচারক এবং পরিচারিকাদের নিয়ে উপহাস করা দীর্ঘ দিনের শ্রেণী শোষণের প্রতীক। অনেকে এই প্রসঙ্গে তুলে আনেন গৃহবধূদের বিনা পারিশ্রমিকে বাড়ির কাজ করে যাওয়ার কথাও।
