দ্য সান-এর এক প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে যে ৪৪ বছর বয়সি জনি ডেভিস থাকেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেব্রাস্কায়। প্রথম স্বামীর থেকে তাঁর দুই সন্তান আছে। বিবাহবিচ্ছেদের পরে তিনি টরেজ নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে সন্তানের তত্ত্বাবধায়কের কাজ নেন।
এখান থেকেই দু’জনের ঘনিষ্ঠতা শুরু হয়, ধীরে ধীরে একে অপরকে ভালবেসে ফেলেন তাঁরা। এই ঘটনা ২০১৭ সালের। এর পর ২০১৮ সালে, জনি এবং টরেজের এক কন্যাসন্তানের জন্মও হয়।
advertisement
এর পরই ঠিক করেন যে তাঁরা বিয়ে করবেন। সুখী দাম্পত্যের পরিকল্পনায় বিভোর এই প্রেমিক এবং প্রেমিকা বিয়ের আয়োজন করতে থাকেন। ১৯ জুন, ২০২৩ তারিখে বিয়ের দিন ঠিক হয়। ইতিমধ্যে, জনির বাবা এবং প্রথম স্বামী দু’জনেই প্রয়াত। ফলে, এই বিয়ে নিয়ে জনির মনে সুখী হওয়ার আশা ছিল।
আরও পড়ুন: টালির ঘরে বসেই স্বপ্নে বুঁদ, চলছে চরম প্রস্তুতি! এ যেন ‘টুয়েলভথ ফেল’ সিনেমার বাস্তব রূপ
নির্ধারিত দিনে গির্জায় যথাসময়ে বিয়ে হয়েও যায়। কিন্তু তার পরেই টরেজ বলতে শুরু করেন যে তাঁর খুব গরম লাগছে। এক সময়ে তিনি সংজ্ঞা হারান। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
জনি ভেবেছিলেন, এ হয়তো প্যানিক অ্যাটাক। কিন্তু হাসপাতালে টরেজকে মৃত ঘোষণা করা হয়। তাঁর রক্ত জমাট বাঁধার সমস্যা ছিল, তার জন্য ওষুধও খেতেন তিনি। রক্ত জমাট বেঁধেই বিয়ের ১ ঘণ্টার মধ্যে হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হন তিনি।
জনির বিয়ে ১ ঘণ্টার বেশি টেকেনি। কিন্তু মেয়েকে নিয়ে তিনি আছেন নিজের মতো। বলেন, মাত্র ১ ঘণ্টার জন্য হলেও টরেজকে যে স্বামীরূপে পেয়েছিলেন, তাতেই তিনি সুখী। মেয়েকে টরেজের গল্পও বলেন।
টরেজের প্রয়াণের পরে জনি এবং কন্যাসন্তানের ব্যয়নির্বাহের জন্য একটা GoFundMe প্রচার শুরু করেন বন্ধুরা। বর্তমানে এতে ২০ লাখ টাকা জমা হয়েছে।