কিন্তু ঘটনা হল, আমরা প্রায়ই দেখে থাকি ঘরের বিদ্যুৎ সংযোগ পরীক্ষা করার সময় অবলীলায় তা পরীক্ষা করে ফেলেন বিশেষজ্ঞরা। বৈদ্যুতিক বোর্ডে তড়িৎপ্রবাহ ঠিক মতো হচ্ছে কিনা, তা দেখতে পরীক্ষক একটি টেস্টার ব্যবহার করেন। টেস্টারটি হাতে ধরে থাকলেও কখনও তড়িদাহত হন না পরীক্ষক। কী করে এমন হয়!
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় এমনই একটি প্রশ্ন উঠে এসেছে। ‘কেন আমরা টেস্টার ব্যবহার করার সময় তড়িদাহত হই না?’
advertisement
আরও পড়ুন: সূর্যের আলোয় ভুলেও খাবেন না লেবু! মারাত্মক ঘটনা ঘটতে পারে শরীরে, মার্গারিটা বার্ন রোগ কী জানুন
সোশ্যাল মিডিয়াতেই অনেক মানুষ উত্তর দিয়েছেন এই প্রশ্নের। শিবাংশ নামে এক ব্যক্তি লিখেছেন, ‘টেস্টারে একটি রেজিস্ট্যান্স থাকে, যেটি স্ক্রু ড্রাইভারের ব্লেডের সঙ্গে যুক্ত থাকে। আর অন্যদিকে থাকে একটি নিয়ন বাতি এবং একটি স্প্রিং রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল প্রতিরোধ, যা প্রায় ১ মেগা ওহমের সমান। যখন আমরা টেস্টারকে ফেজে রাখি, তখন তড়িদ প্রতিরোধের মাধ্যমে আমাদের হাতে পৌঁছায়। রেজিস্ট্যান্স এত বেশি যে এটি আমাদের ঘরে আসা ২২০ ভোল্টের সরবরাহকে ৪ বা ৫ ভোল্টে রূপান্তর করে দেয়।’ ৪ ভোল্ট থেকে কোনও ভাবেই তড়িদাহত হওয়ার আশঙ্কা থাকে না।
মানবেন্দ্র সিং নামে আর এক ব্যক্তি লিখেছেন, ‘কলম আকৃতির টেস্টারটি আসলে নিয়ন টেস্টার। এর প্রধান উপাদান নিয়ন বাল্ব এবং প্রতিরোধক। একটি বিদ্যুৎ প্রবাহিত হলে নিয়ন আলো জ্বলে ওঠে। দ্বিতীয় উপাদানটি হল প্রতিরোধক, খুব উচ্চ প্রবাহকে সীমায়িত করে ফেলতে পারে এটি। এই প্রতিরোধকের মান এমনভাবে নির্ধারণ করা হয় যে প্রবাহের পরিমাণ 8 মিলিঅ্যাম্পায়ার বা তার কম হয়ে যায়। মানবদেহ সহজেই ৯ মিলিঅ্যাম্পিয়ার পর্যন্ত বিদ্যুৎ প্রবাহ সহ্য করতে পারে। তাই টেস্টারে প্রবাহিত বিদ্যুৎ আমাদের ধাক্কা দেয় না।’
নানা সূত্র থেকে টেস্টার সম্পর্কে ধারণা দিয়েছেন অনেকে। আর তার উপর ভিত্তি করে মোটামুটি আন্দাজ করা যায় কেন ঘরের বিদ্যুৎ সংযোগ পরীক্ষা করার সময় অনায়াসে টেস্টার দিয়ে তা করে ফেলা যায়।