অনেকেই জানেন না, ১৯৮৪ সালে প্রথমবার আয়ারল্যান্ডে ধূমপান বিরোধী দিবস পালিত হয়েছিল। কিন্তু তার পর এখন মার্চের দ্বিতীয় বুধবার দিনটি পালন করা হয়। আর একদল গবেষকের দাবি, ধূমপান বিরোধী দিবস পালনের ফলে আখেরে প্রচুর মানুষকে ধূমপানের ক্ষতিকারক প্রভাব সম্পর্কে বোঝানো গিয়েছে।
গবেষকদের দাবি, এই দিনটি পালন হওযার ফলে সারা বিশ্বে প্রতি দশজনের মধ্যে অন্তত একজন ধূমপান ত্যাগ করেছেন। তামাক সেবন সরাসরি ক্যান্সার এবং শ্বাসকষ্টজনিত অসুস্থতার সৃষ্টি করে, সেটি বিভিন্ন পরীক্ষায় প্রমাণিত হয়েছে। এই ক্ষতির কথা জানা সত্ত্বেও প্রচুর মানুষ আসক্ত হয়ে পড়েছেন। সিগারেট টানার অভ্যেস ত্যাগ করতে পারছেন না বহু মানুষ। কিন্তু অনেকেই জানেন না, সিগারেট জিনিসটা আবিষ্কার করেছিলেন কে বা কারা? আসুন জেনে নেওয়া যাক…
advertisement
আরও পড়ুন- দোলের দিন মদের দোকান কতক্ষণ বন্ধ? ‘ওবেলা’ খুলবে? জেনে রাখুন, কাজে দেবে
‘টোব্যাকো ইন হিস্ট্রি অ্যান্ড কালচার’ বইয়ের লেখক জর্ডান গুডম্যানের দাবি, সিগারেটের স্রষ্টা আমেরিকান শিল্পপতি জেমস বুকানন ডিউক। তিনিই নাকি আধুনিক সিগারেটের উদ্ভাবক। একাধিক ইতিহাসবিদদের মতে, জেমস ১৮৮০-এর দশকে হাতে তৈরি সিগারেট তৈরির ধারণা নিয়ে আসেন। সেই সময় সিগারেট প্রি-রোল্ড টোব্যাকো নামে পরিচিত ছিল। সেই শিল্পপতি ও তাঁর ভাই বেঞ্জামিন ডিউক বাবা ওয়াশিংটন ডিউকের তামাক সংস্থার দায়িত্ব গ্রহণ করার পর এমন সিদ্ধান্ত নেন।
আরও পড়ুন- চকোলেট কিংবা খেলনার প্রতি আসক্তি নয়, বরং এক অদ্ভুত জিনিসের নেশায় বুঁদ ১২ বছরের নাবালক !
এর পর ১৮৮৫ সালে বুকানন স্বয়ংক্রিয় সিগারেট তৈরির মেশিন পরিচালনার লাইসেন্স পান। সেই মেশিন তৈরি করেন জেমস অ্যালবার্ট বনস্যাক। এর পর ১৯৯০ সাল নাগাদ আমেরিকার সিগারেটের বাজারের প্রায় অর্ধেক অংশ দখল করে বুকাননের কোম্পানি। বুকাননের আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানি নামে একই সংস্থা তখন আমেরিকার সিগারেট বাজারে একচেটিয়া ব্যবসা করতে থাকে।