এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে শেফিল্ড এবং ওয়ারউইক বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক অধ্যাপক দীর্ঘদিন গবেষণা করেছেন। আর দীর্ঘ গবেষণার পর শেষমেশ বিজ্ঞানীরা এর সঠিক উত্তর খুঁজে পেয়েছেন। তাঁরা জানিয়েছেন, পৃথিবীতে ডিমের আগে মুরগি এসেছে। কারণ কোনও প্রাণীর উদ্ভব ছাড়া কখনওই তার সন্তান বা ডিম উৎপন্ন হতে পারে না।
advertisement
গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ডিমের খোসায় ওভোক্লিডিন নামে একটি প্রোটিন পাওয়া যায়। এটিই ডিমের খোসা তৈরির প্রধান উপাদান। আর এই প্রোটিন তৈরি হয় শুধুমাত্র মুরগির জরায়ুতে। তাই যতক্ষণ না মুরগির জরায়ু থেকে মেলা এই প্রোটিন ডিম তৈরিতে ব্যবহার না করা হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত ডিম তৈরি হবে না।
কাজেই ডিমের আগে মুরগি পৃথিবীতে এসেছে। যখন মুরগি আসে, তখন তার জরায়ুতে ওভোক্লিডিন তৈরি হয় এবং তারপর সেই প্রোটিন দিয়ে ডিমের খোসা এবং ডিম তৈরি হয়।
পুরীর রথ এবার রঘুনাথপুরে, থিমে মন কাড়ছে আপার বেনিয়াসোলের দুর্গাপুজো মণ্ডপ
আরও দেখুন অবশ্য নানা মুণির নানা মত। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, কয়েকশো বছর আগে পৃথিবীতে ছিল মুরগীর মতো দেখতে একটি বড় আকারের পাখি। সেই পাখির সঙ্গে মুরগির জিনগত মিল ছিল। বিজ্ঞানীদের বক্তব্য, সেটি ছিল এক ধরনের 'প্রোটো-চিকেন'। সেই পাখি একটি ডিম পেড়েছিল। এরপর কিছু বিবর্তনগত পরিবর্তন ঘটে সেই ডিমে। আর সেই ডিম থেকেই বিবর্তন ঘটে আজকের মুরগির জন্ম! কাজেই এই বিশেষজ্ঞদের মতে, মুরগি নয়, আগে এসেছে ডিম।