এমন চাকরি হাতছাড়া করে নাকি কেউ! তবে সমস্যা রয়েছে অন্য জায়গায়। নিয়োগকারী সংস্থার শর্ত একটাই— আবেদনকারী প্রার্থীকে হতে হবে নিরামিষাশী।
কী মনে হচ্ছে, গুজরাত বা উত্তরপ্রদেশের কোনও সংস্থায় বেরিয়েছে এমন চাকরির বিজ্ঞপ্তি!
একেবারেই না। এই বিজ্ঞাপন ভারতীয় কোনও সংস্থার নয়। বরং এটি প্রকাশিত হয়েছে চিনে। সেই চিন, যেখানে মানুষের অন্যতম প্রধান খাদ্যই হল নানা রকমের সামুদ্রিক প্রাণী। তাছাড়া, শোনা যায়, ‘আরশোলা মুখে দিয়ে সুখে খায় চিনারা’। টিকটিকি, বাদুড়, চামচিকে থেকে সাপ, ব্যাঙ— কিছুই নাকি বাদ পড়ে না তাঁদের পাতে।
advertisement
আরও পড়ুন- সবচেয়ে বড় অফিস ভবন! সুরাতের চালে মাত পেন্টাগন
ভারতে আমিষাশী এবং নিরামিষাশী মানুষের সহাবস্থান দীর্ঘকাল ধরে। তাই এমন বিজ্ঞাপন প্রায় কোনও সংস্থাই প্রকাশ্যে দিতে পারে না। যদিও অনেক সংস্থা এই নিয়ম গোপনে মেনে চলে বলে অভিযোগ ওঠে। কিন্তু চিনে একেবারে সরাসরি বিজ্ঞাপন বেরিয়েছে। সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চিনের দক্ষিণাঞ্চলীয় শেনজেনের একটি প্রতিষ্ঠান চাকরির বিজ্ঞাপনে এমনই শর্ত রেখেছে।
জানা গিয়েছে গত ৮ জুলাই বিজ্ঞাপনে দিয়ে অপারেশন অ্যান্ড মার্চেন্ডাইজার পদে কর্মী নিয়োগের কথা ঘোষণা করেছে ওই সংস্থা। বেতন, মাসে ৫০ হাজার ইউয়ান, ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৬০ হাজার টাকা। সঙ্গে বিনামূল্য বাড়ি। শুধু প্রার্থীকে হতে হবে নিরামিষাশী।
আরও পড়ুন- মিত্র দিবসে ময়দানে মোহনবাগানীদের মিলনোৎসব, জন্মদিনে রক্তদানে সবুজ-মেরুনের অঞ্জন স্মরণ
শুধু তাই নয়, সংস্থার দাবি, কর্মপ্রার্থীকে হতে হবে সদয় ও সদাচারী। যাঁরা ধূমপান বা অ্যালকোহল পান করেন না শুধু তাঁরাই আবেদন করার যোগ্য বলে বিবেচিত হবে।
সংস্থার এইচআর বিভাগ জানিয়েছে, প্রাণিহত্যা নিষ্ঠুরতা। এই সংস্থা তা বরদাস্ত করে না। অফিস ক্যান্টিনেও আমিষ খাবার পরিবেশন করা হয় না। যারা এখানে কাজ করেন, তাঁদের এটা মেনে চলতেই হবে।
যদিও এমন বিজ্ঞাপনের কথা প্রকাশ্যে আসার পরই শুরু হয়েছে প্রবল সমালোচনা। কোনও স্বাধীন দেশে নাগরিকের ব্যক্তিগত খাদ্যাভ্যাসের উপর এমন সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়া যায় না বলেই মত প্রকাশ করেছেন অধিকাংশ নেট নাগরিক।