এই অস্ত্রগুলি কিন্তু বেশ ভয়ানকই ছিল। মুহূর্তের মধ্যে শত্রুকে বিনাশ করার ক্ষমতা রাখে। আর এই ধারালো অস্ত্রের আঘাত এড়ানোর জন্য, যোদ্ধা এবং রাজারাজড়ারা ব্যাপক ভাবে ব্যবহার করতেন প্রতিরক্ষামূলক বর্ম। এই প্রতিরক্ষামূলক ঢালগুলির ওজন হত অত্যন্ত বেশি। মধ্যপ্রদেশের বাঘেলখণ্ডের রাজধানী রেওয়ার বাঘেলা মিউজিয়ামে এমনই অনন্য একটি সুরক্ষা বর্ম রয়েছে। এই প্রতিরক্ষামূলক বর্মটির নাম ছাপ্পান্ন ছুরি কবচ। কারণ এই বর্মটির সঙ্গে ৫৬টি ছুরি সংযুক্ত রয়েছে।
advertisement
ইতিহাসবিদ আসাদ খানের বক্তব্য, ৫৬টি ছুরিযুক্ত এই বর্মটি বাঘেলা মিউজিয়ামে নিরাপদে রাখা রয়েছে, যা এক সময় বড় বড় যুদ্ধেও ব্যবহৃত হয়েছে। এই বর্মটিকে জিরাহ বখতারও বলা হত। যুদ্ধে যাওয়ার আগে যোদ্ধারা আত্মরক্ষার জন্য এই বর্মের সাহায্যে শরীরকে মুড়ে নিতেন। আর এই বর্মটিতে প্রায় ৬ ইঞ্চি মাপের ৫৬টি ছুরি রয়েছে। আর এই ছুরিগুলি কিন্তু খুব ধারালো এবং তীক্ষ্ণ। এমনকী যুদ্ধের সময় অস্ত্রশস্ত্র ফুরিয়ে গেলেও যোদ্ধাদের চিন্তা থাকত না। তখন কাজে আসত বর্মে খোদাই করা ছুরিগুলোই। কারণ শত্রুদের ছিন্নভিন্ন করে ফেলার ক্ষমতা রাখত সেগুলি।
ইতিহাসবিদ আসাদ খান আরও জানান যে, বহু যুদ্ধেই ছাপ্পান্ন ছুরি বর্ম ব্যবহার করা হয়েছে। এটি যোদ্ধার বুক এবং পিঠ উভয়ই রক্ষা করত। এছাড়া এই বর্মটি হাতেও পরা যেত। এর পাশাপাশি যোদ্ধারা মাথায় হেলমেটের বর্মও পরে নিতেন। রেওয়ার রাজা ভেঙ্কটারমন সিংই তাঁর সেনাবাহিনীর জন্যই এমন একটি প্রতিরক্ষামূলক বর্ম তৈরি করেছিলেন। রাজ্যের বাইরে যুদ্ধের সময়েও এই ধরনের প্রতিরক্ষামূলক ঢাল ব্যবহার করা হত। আজ যোদ্ধাদের সেই সুরক্ষা কবচই রাজ্যের ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে বাঘেল জাদুঘরে শোভা পাচ্ছে।