‘‘এই ধরনের ম্যানেজারের সঙ্গে আমার কী করা উচিত?’’ এমনই একটি শিরোনাম দেওয়া রেডিট পোস্ট ভারতীয় কর্মজগতের খারাপ ম্যানেজমেন্টের কার্যকলাপ সকলের সামনে তুলে ধরেছে। একজন অসুস্থ কর্মচারী এবং ব্রাঞ্চ ম্যানেজারের মধ্যে কথোপকথন ভারতের কর্পোরেট সংস্কৃতির ক্রমবর্ধমান সহানুভূতির অভাবকে ফের প্রকাশ্যে এনেছে। অনলাইনে সেই কথোপকথনটি শেয়ার করা হয়েছে।
advertisement
শেয়ার করা সেই পোস্ট অনুসারে এই কর্মী তাঁর ম্যানেজারের কাছে ছুটির জন্য আবেদন করেছিলেন, তিনি একটি বেদনাদায়ক স্বাস্থ্য সমস্যার (সম্ভবত অর্শ বা ফিসার) কারণে কাজে যোগ দিতে পারছেন না তাউল্লেখ করেছিলেন। তিনি ডাক্তারের একটি নোট দিয়েছিলেন এবং একটি সংক্ষিপ্ত মেডিক্যাল লিভের জন্য অনুরোধ করেছিলেন। তিনি তাঁর ম্যানেজারকে আরও ভালভাবে বিষয়টা বোঝানোর জন্য ডাক্তারের প্রেসক্রিপশনও শেয়ার করেছিলেন বলে জানিয়েছেন।
ওই কর্মী লিখেছিলেন, “আমি দীর্ঘক্ষণ বসতে বা দাঁড়াতে পারছি না… দয়া করে আজকের জন্য আমাকে মেডিক্যাল লিভ দিন।” কোনও সাড়া না পেয়ে তিনি পরে বলেছিলেন যে তাঁর অবস্থা এখনও ভাল নয়। কিন্তু ছুটি পাওয়ার পরিবর্তে সেই কর্মীকে তিরস্কার করা হয়েছিল। এর পর সেই কর্মীর উপরে সন্দেহ প্রকাশ করে ম্যানেজার জানান, “আপনি যখন ছুটি চাইছেন তখন দুই দিনের বেতন কাটা যাবে।”
কর্মী ছুটি নেওয়ার জন্য ক্ষমা চান, যা তাঁর করার কথা নয়। তিনি সবিনয়ে লেখেন, “দয়া করে আমার পরিস্থিতি বুঝুন, স্যার, আমি চিকিৎসার জন্য বলছি… আমার স্বাস্থ্যগত অসুস্থতার কারণে অফিসে আসতে না পারার কথা আপনাকে না জানানোর জন্য আমি দুঃখিত।”
কর্মী ক্ষমা চেয়ে নিজের পরিস্থিতির কৈফিয়ত দেওয়ার পর ম্যানেজারের প্রতিক্রিয়া আরও তীব্র হয়ে ওঠে, “তোমার কাজ কে করবে? তুমি যত বেশি তোমার দায়িত্ব এবং প্রতিশ্রুতি থেকে পালিয়ে যাবে, তত বেশি সমস্যা হবে। প্রথম ১০ দিনের ক্ষেত্রেই তুমি তোমার প্রতিশ্রুতিতে অটল থাকোনি।”
এরপর সেই কর্মী শান্তভাবে ম্যানেজারকে জানান যে, তিনি কেবল সুস্থ হওয়ার জন্য সময় চাইছেন, কাজ এড়িয়ে যাচ্ছেন না। “আমি আমার প্রতিশ্রুতি থেকে পালিয়ে যাচ্ছি না। অফিসে ফিরে আসার পর আমি সব কিছু করব।”
এই পোস্ট এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হয়েছে। সবাই সমালোচনা করছেন ম্যানেজারের। কিন্তু কর্মসংস্কৃতি কি আদৌ সুস্থ হবে? সেই প্রশ্নের উত্তর নেই কারও কাছে!