আমরা যারাই বাচ্চা নিয়ে পার্কে বা ইতিউতি গিয়েছি, তারাই জানি কীভাবে খুদেগুলো হাত ছাড়িয়ে যে দিকে মন টানছে, সে দিকে দৌড় দিতে চায়। বাচ্চা নিয়ে না বেরোলেও পথেঘাটে এমন দৃশ্যের সাক্ষী আমরা অনেকেই। দেখা গেল, এক অভয়ারণ্যের বাচ্চা হাতিরও স্বভাব ঠিক ওই রকম- মা যা বলবে, সে তা শুনবে না। (Viral video of elephant)
advertisement
হাতি তো অবোলা প্রাণী! সে যদি কথা বলতে পারত, তবে নির্ঘাত শোনা যেত- 'বলছি ওদিকে যাসনি'! যে ভিডিওটি সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়, সেখানে হস্তিনীর শারীরিক ভাষা দেখে এটাই সবার আগে মাথায় আসে। দেখা যাচ্ছে যে এক অভয়ারণ্যের রাস্তা পার হচ্ছে সেই হস্তিনী, পিছনে পিছনে পায়ে পায়ে টলমল করে হেঁটে আসছে তার ছোট্ট শাবক। জঙ্গলের এক অংশ থেকে পিচ-বাঁধানো রাস্তায় উঠতে যা দেরি, তার পরেই ছানার নজর ঘুরে গিয়েছে অন্য দিকে।
কোথায়? না, পর্যটকদের দিকে, যারা জঙ্গল সাফারিতে এসেছেন। তাঁদের দেখেই ছানা হাতি তার পক্ষে যতটা সম্ভব, মুখ ঘুরিয়ে এগিয়ে চলেছে সেই দিকে। যাওয়ার ভঙ্গিতে একটু ইতস্তত ভাবও আছে বইকি- 'মা আবার বকবে না তো'! ফলে দৌড় সে দিতে পারেনি, হাঁটার গতিও ছিল অপেক্ষাকৃত মন্থর। ফলে, হস্তিনী যখন ব্যাপারটা টের পেল, ছানাকে শুঁড় দিয়ে আগলাতে তাকে বেগ পেতে হল না বিশেষ।
আরও পড়ুন : অমানবিক! প্রবীণ শ্বশুরকে নির্বিচারে মারধর সাব ইন্সপেক্টর পুত্রবধূর, দেখুন ভাইরাল ভিডিও
তবে ওই- মা-বাবার কথা শুনতে কি আর আমাদের ভাল লাগে! ছানা হাতিরও লাগেনি, বেশ মনমরা হয়ে সে দাঁড়িয়ে ছিল রাস্তায়, নড়তে চাইছিল না। হস্তিনী তখন সস্নেহে একবার শুঁড়টা বুলিয়ে দিল সন্তানের পিঠে। ইঙ্গিত যথেষ্ট- এর বেশি বেগড়বাঁই করলে দু'ঘা পড়তে সময় লাগবে না! ছানাও তখন ভয়ে ভয়ে আর অনিচ্ছায় মায়ের পায়ে পায়ে রাস্তা পেরিয়ে চলে গেল জঙ্গলের অন্য দিকে।
আরও পড়ুন : কিশোরকুমারের বাংলোর পর এ বার আলিবাগে মহার্ঘ্য খামারবাড়ি কিনলেন বিরাট ও অনুষ্কা
Buitengebieden নামের এক ট্যুইটার (Twitter) ইউজারের অ্যাকাউন্ট থেকে এই জীবজগতের ঝলক উঠে এসেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ভাইরাল হতেও সময় লাগেনি। সকলেই প্রশংসা করেছেন হস্তিনীর সন্তানকে শিক্ষাদান পদ্ধতির। একটা মন্তব্যের কথা শুধু আলাদা করে উল্লেখ করতেই হয়, সেই ইউজার জানিয়েছেন যে কী সুন্দর ভাবেই না পশুরা কোনও কথা না বলে, না চেঁচিয়ে, শান্ত ভাবে ছেলে-মেয়েকে সহবত শেখায়!
হক কথা! ছোটবেলার বকুনির কথা ভোলা কি আর এতই সহজ!