বিমানবন্দরের চেকিং সেই ইচ্ছে পূর্ণ হতে দেয়নি। অনেক চেষ্টা করেও বোঝাতে পারেননি লেখিকা- টিনের মধ্যে ড্রাগ-টাগ নেই। কিন্তু কে শোনে কার কথা! অতঃপর টিন খুলে তাঁকে ব্যাপারটার প্রমাণ দিতে হয়। চেকিং অফিসারদের একজন খুব ভয়ে ভয়ে একটা রসগোল্লা মুখে দেন, তার পর মুখে ফুটে ওঠে হাসি। তা বলে বাকি টিনগুলোর ক্ষেত্রে তো আর নিশ্চিন্ত হওয়া যায় না। অতএব, নবনীতাকে সেগুলোর সবকটা খুলতে হয়েছিল। ততক্ষণে অফিসাররা নিশ্চিন্ত হলেও যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে, সে আর নিয়ে যাওয়ার অবস্থায় নেই। কাজেই বিমানবন্দরের চেকিং অফিসারদের সেগুলোর সবকটা খেতে বাধ্য করেছিলেন লেখিকা।
advertisement
সেই ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হল এ বারের নবরাত্রি শুরু হওয়ার দিন দুই আগে, সঠিক ভাবে বললে ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২ তারিখে। সেই দিন নবনীতার মতো একই অভিজ্ঞতার কথা জনসমক্ষে নিয়ে এলেন হিমাংশু দেবগণ। তফাত বলতে কলমের বদলে তিনি হাতে তুলে নিয়েছিলেন ক্যামেরা আর রসগোল্লার জায়গায় ছিল টিনবন্দি গুলাবজামুন। স্থান ফুকেত বিমানবন্দর ৷ কিন্তু ঠিক কী হয়েছিল হিমাংশুর সঙ্গে?
আরও পড়ুন : হিমালয়ের কোলে 'বিশ্বের সর্বোচ্চ উচ্চতার' শিব মন্দির!
হিমাংশু দেবগণ যে ভিডিওটি আপলোড করেছেন নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে, তাতে ফুকেত বিমানবন্দরের সিকিউরিটি চেকিং অফিসারদের দেখা যাচ্ছে। চোখে পড়ছে এক ভারতীয় হাত, তা ধরে আছে এক টিন রসে টইটুম্বুর গুলাবজামুন। কালো স্যুট পরা এক অফিসার সেখান থেকে তুলে নিচ্ছেন একটা মিষ্টি, সন্তর্পণে রস ঝরিয়ে তা মুখে দিচ্ছেন। পরের দৃশ্যে অবশ্য নবনীতার মতোই গা-জোয়ারি দেখা যাচ্ছে সামান্য হলেও।
আরও পড়ুন : কথার মাঝেই গর্ভস্থ শিশুর নড়াচড়া অনুভব, পুরস্কার মঞ্চে আটপৌরে সুখানুভূতি আলিয়ার
আর এক অফিসার কিছুতেই খেতে চাইছেন না গুলাবজামুন, ওদিকে হিমাংশুকে সরাসরি দেখা না গেলেও বোঝা যাচ্ছে যে আত্মীয়দের মধ্যে সম্ভব যখন হল না, তখন মিষ্টত্বের স্বাদ তিনি ছড়িয়ে যাবেন ফুকেত বিমানবন্দরেই। আর কী, অনুরোধে অনেকে ঢেঁকিও গিলে থাকেন বলে শোনা যায়, আর এ তো মাত্র একটা গুলাবজামুন! অফিসারও তাই তুলে নিলেন একটা মিষ্টি, হাতে নিয়ে সামান্য কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলেন দ্বিধাগ্রস্ত ভাবে, তার পর ফেস মাস্ক সরিয়ে সেটা মুখে পুরলেন! অভিব্যক্তি দেখে মনে হল স্বাদ তাঁর পছন্দ হয়েছে।