এরপরই ঘটল আসল ঘটনা। নাচতে নাচতে পকেট থেকে সিঁদুর বের করে তরুণীকে পরিয়ে দিলেন যুবক। ভরা মঞ্চে, সকলের সামনে। প্রেমের সপ্তাহে এই ভিডিও ছড়িয়ে পড়তে সময় লাগেনি। নেটিজেনরা মুগ্ধ। অনেকেই বলছেন “প্যায়ার কিয়া তো ডরনা কেয়া”। তবে আসল ঘটনা অন্য। ভিডিওটি বিহারের নালন্দা জেলার। সরস্বতী পুজো উপলক্ষ্যে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেই ঘটে এই ঘটনা। জানা গিয়েছে, নৃত্যশিল্পীর নাম পারো আরতি। ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় এসে সেদিন ঠিক কী ঘটেছিল তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন তিনি।
advertisement
পারো আরতি বলেছেন, “সরস্বতী পুজোয় নাচতে গিয়েছিলাম। একটা ছেলে স্টেজে উঠে আমার সিঁথিতে সিঁদুর পরিয়ে দেয়। আমি তাঁকে চিনিও না। ওই দিনের আগে কখনও দেখিওনি। পুরো মদ্যপ অবস্থায় ছিল। হঠাৎ করেই এসে সিঁথিতে সিঁদুর দিয়ে দেয়।”
ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর পারো আরতিকে বাংলাদেশি বলেও অভিযোগ করেছেন কেউ কেউ। সেই অভিযোগও নস্যাৎ করে দিয়েছেন পারো। তিনি বলেন, “ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর অনেকেই আমাকে বাংলাদেশি বলে প্রচার করছে। কিন্তু এটা একেবারেই সত্য নয়। আমি বিহারের বাসিন্দা।”
মুখ খুলেছেন যুবকের বাবাও। জানা গিয়েছে, ওই যুবকের নাম গুলশন। তাঁর বাবা বলেন, “ছেলে সিঁদুর নয় আবির মাখিয়েছিল। সিঁদুর পরানোর কথা সম্পূর্ণ ভুল।” এখানেই থামেননি তিনি। সঙ্গে যোগ করেছেন, “ওই নৃত্যশিল্পী বিবাহিত। ছেলে সিঁদুর পরাবে কী করে!”
শেষের এই বক্তব্যে বেজায় চটেছেন পারো আরতি। পাল্টা আরও একটি ভিডিওতে তাঁকে ‘শ্বশুরমশাই’ সম্বোধন করে রীতিমতো কটাক্ষে বিঁধেছেন। রসিকতার সুরে বলেছেন, “আমার শ্বশুর বলেছেন, আমি না কি আগেই বিবাহিত ছিলাম। মিথ্যে বলছেন। আগে বিয়ে করে থাকলে তার প্রমাণ দিন। শ্বশুরমশাই মিথ্যে কথা বলবেন না। আমি শুধু আপনার ছেলের সঙ্গেই থাকব। আপনার পুত্রবধূ হতে চাই।” সঙ্গে আরতি বলেন, “আপনার জন্যেই আমাকে শ্বশুরবাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে। আমি নাচি বলে স্বামী সম্পর্ক রাখে না। এই ঘটনার পর আরওই রাখতে চাইছে না। কিন্তু শ্বশুরমশাই এখন থেকে আমি আপনার কাছেই থাকব। আপনার বউ হয়ে থাকব।”
মঞ্চের একটা সাধারণ ঘটনা যে এমন দিকে মোড় নিতে পারে ভাবতে পারছেন না অনেকেই। সব দেখেশুনে ‘ওম শান্তি ওম’-এর সেই বিখ্যাত সংলাপ মনে পড়ছে নেটিজেনদের, “এক চুটকি সিঁন্দুর কি কিমত তুম কেয়া জানো মহেশবাবু…”।